আগামী ০৯ অক্টোবর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ওইদিন ভোর থেকেই মাতৃবন্দনায় মিলিত হবেন ৃভক্তবৃন্দ সকলেই। ইতোমধ্যে স্থানীয় মৃৎশিল্পীদের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণরুপে ফোটে ওঠছে দৃষ্টি নন্দন অধিকাংশ প্রতিমা। সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। এ কাজে খুবই ব্যস্থ সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন মৃৎশিল্পিরা যুগান্তর কে জানান, দেবী দূর্গা আসছেন অন্ধকার আচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করতে। ঢাক, ঢোল, শংখ ধ্বনী আর উলুধ্বনী দিয়ে দেবী দূর্গাকে বরন করে নেয়ার অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভক্তরা। নিজেদের মনের মতো করে প্রতিমার নকশায় নিজেকে সেরা শিল্পী হিসেবে তুলে ধরতে দিন রাত পরিশ্রম করে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী ০৯ অক্টোবর থেকে শারদীয় দূর্গোৎসবের আয়োজন শুরু হবে। স্থানীয় দশভুজা বাড়ীতে কর্মরত মৃৎশিল্পী নারায়ন চন্দ্র পাল জানান, আমি দীর্ঘ ২৯ বছর যাবত প্রতিমা তৈরীর কাজ করে আসছি, আমার বাপ, দাদারাও এ কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাদের উত্তরসুরী হিসেবে আমিও এই কাজ করছি। প্রতি মন্ডপের প্রতিমা তৈরী বাবদ ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা মুল্য গ্রহন করেন তিনি। উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট মানেশ চন্দ্র সাহা বলেন, সরকারী নির্দেশনা মেনে দুর্গাপুর উপজেলায় এবার প্রায় ৬৪টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে তালিকার কাজও শেষ হয়েছে। উপজেলা বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতাকর্মীরাও আমাদের সহায়তা দিবেন বলে আশ^াস দিয়েছেন। আমি মনে করি এ উৎসব সকলের। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এবারের উৎসব সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম রকিবুল হাসান যুগান্তর কে বলেন, শারদীয় দূর্গোৎসব কে ঘিরে দুর্গাপুরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। প্রত্যেকটা পূঁজা মন্ডপে সরকারি বিধি মোতাবেক পুজা সম্পন্ন্যের জন্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকলের সহযোগিতা পেলে শারদীয় পুজা ভালো ভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।