শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

যে কোনো সময় দেশে ফিরবেন তারেক রহমান!

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসেও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। ফিরতে পারেননি দেশে। তারেক রহমানের আইনজীবী ও দলের শীর্ষ নেতাদের দাবি, দেশে ফিরতে তারেক রহমানের আইনগত কোনো জটিলতা নেই।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদও লন্ডনে। আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। তবে সরকার চাইলেই যে কোনো সময় তিনি ফিরতে পারেন।
আমরা দেশবাসী সবাই প্রত্যাশা করছি ইমিডিয়েট তারেক রহমান ফিরবেন। আইনি জটিলতা বা আইনের যে বিষয় বলা হচ্ছে এটা তো শেখ হাসিনার সৃষ্ট আইন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী একটি অন লাইন নিউজ পোর্টালকে বলেন, ‘আমরা দেশবাসী সবাই প্রত্যাশা করছি ইমিডিয়েট তারেক রহমান ফিরবেন। আইনি জটিলতা বা আইনের যে বিষয় বলা হচ্ছে এটা তো শেখ হাসিনার সৃষ্ট আইন। শেখ হাসিনার সৃষ্ট আইনকে যদি আমরা অনুসরণ করি তাহলে তো ফ্যাসিবাদের রেসিডিউ যেটা সেটাই বিদ্যমান থাকলো।’ ‘সে সময় যে মামলাগুলো দিয়েছিল তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচার করেছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। ফরমায়েশি সাজা দিয়েছে তার প্রতিহিংসা পূরণের জন্য। সেই সাজা, আইনি প্রক্রিয়া এখন তো কার্যকর থাকার কথা নয়।’ বলছিলেন রিজভী।
‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যথেষ্ট আস্থা রেখেই আমরা বলবো, আপনারা দ্রুত এটা নিরসন করুন, যে সাজা দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন।’ রিজভী বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদিও লন্ডনে বসে প্রযুক্তির মাধ্যমে সারাদেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আছেন, তবু কাছাকাছি তো মানুষ তাকে দেখছে। আইনের দোহাই দিয়ে তার দেশে আসা বিলম্বিত করা অনুচিত।’
তারেক রহমানের দেশে ফিরতে আইনগত কোনো জটিলতা নেই। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে দেশে ফেরার সময়ের সিদ্ধান্তটা তার নিজস্ব বিষয়।- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন
তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রতি আমরা আস্থার কথা বারবার বলছি। সরকার প্রধানের দায়িত্ব হচ্ছে তার (তারেক রহমান) ফিরে আসার ব্যাপারে সব প্রক্রিয়া দু-একদিনের মধ্যে সম্পন্ন করে তাকে দেশে ফিরে আসার কাজগুলো সম্পন্ন করা।’ তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা কী- এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমরা কোনো বাধা দেখি না, এখন সরকার কীভাবে দেখছে আমরা বলতে পারবো না।’
‘অল্প সময়ের মধ্যে তারেক রহমানের ফিরে আসার প্রচেষ্টা নিতে হবে। যে কোনো সময় এক্সিকিউটিভ অর্ডার দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করা যায়। তারেক রহমান আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করেছেন। তার ফিরে আসতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন, সেটা তো আমাদের দাবি।’ বলেন রিজভী।
দলীয় পর্যায়ে থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘নিশ্চয় আমাদের নেতারা কথা বলেছেন। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও দাবি জানিয়েছেন। আমরা তো ক্ষমতায় নেই, আমরা দাবি জানাবো।’
তারেক রহমানের দেশে ফিরতে আইনগত জটিলতার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন লন্ডন থেকে জাগো নিউজকে বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফিরতে আইনগত কোনো জটিলতা নেই।’ তাহলে তিনি দেশে ফিরছেন না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে দেশে ফেরার সময়ের সিদ্ধান্তটা তার নিজস্ব বিষয়। আমরা আশা করি তিনি দেশে আসবেন এবং আইনগতভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা মোকাবিলা করবেন।’
‘তারেক রহমান আইনের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। এখানে দুটো বিষয় আছে- যদি তিনি আইনের সব বিষয় মান্য করেন তবে আমাদের সিআরপিসির মধ্যে রয়েছে তিনি কীভাবে আপিল করতে পারবেন এবং কীভাবে আপিল করে তিনি মুক্ত হতে পারবেন। আর মামলাগুলো যেহেতু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সে কারণে সরকার যদি ইচ্ছা করে তাহলে তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। অব্যাহতি দিলে তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই।’ জানান জয়নুল আবেদীন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৭টি এবং পরবর্তীসময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে অর্ধশতাধিক মামলা হয়। একাধিক মামলায় তার সাজাও হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com