সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন

শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের বিআইআইটি প্রস্তাব

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

ঁ খবরপত্র ডেস্ক
অবিলম্বে শিক্ষাসংস্কার কমিশন গঠনসহ শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা উপস্থাপনকল্পে সংবাদ সম্মেলন করেছে চিন্তা ও জ্ঞান সংস্কারে নিবেদিত একটি থিংক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি)। সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং শিক্ষা উদ্যোক্তা ড. এম আবদুল আজিজ এবং তাঁর সাথে ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. ইউসুফ এম ইসলাম, সেন্টার ফর ইসলামিক থট এন্ড স্টাডিজ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়খ মুসা আল হাফিজ, একাডেমিক গবেষক এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. আফরোজা বুলবুল, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) এর অধ্যাপক ড. সেলিন রহমান, সঞ্চালক ড. সৈয়দ শহীদ আহমাদ এবং লেখক ও গবেষক আনিসুর রহমান এরশাদ।
ড. এম আবদুল আজিজ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে বহু শিক্ষানীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা ছিল শাসকগোষ্ঠীর চিন্তা-চেতনাকে সাধারণ জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াস। এসব নীতিতে দেশের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, ও দর্শনকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এর ফলে পাঠ্যক্রমে খেয়াল খুশিমতো পরিবর্তন, রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়, এবং অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের পথে দাঁড়িয়েছে।
বিগত ৫ আগস্ট ২০২৪, তরুণ নেতৃত্বের গণজাগরণে স্বৈরাচারী শক্তির পতন ঘটার পর নতুন সম্ভাবনা ও পরিবর্তনের দ্বার উন্মোচিত হয়। এই নতুন অধ্যায়কে “বাংলাদেশ ২.০” নামে অভিহিত করা হচ্ছে- যেখানে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার ও পুনর্গঠন অন্যতম অগ্রাধিকার পাচ্ছে। জাতি গঠনের প্রধান নিয়ামক হিসেবে এ প্রজন্মের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী ও কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা।
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ মানবিকতা, যুক্তিবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা, এবং দেশপ্রেমের আদর্শ তুলে ধরা হলেও তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সমন্বয়হীন একটি সেকেলে শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলেও, তার বাস্তবায়নও সফল হয়নি। ২০২১ সালে চালু করা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা নীতিনির্ধারণে অদূরদর্শিতার ও জাতিসত্তার সাথে সাংঘর্ষিক উপাদান থাকায় এটিও ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়াও উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে বিগত সরকারের গৃহিত সংশোধিত কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) এর ক্রিটিক্যাল রিভিও প্রয়োজন।
এমতাবস্থায়, “বাংলাদেশ ২.০” এর নতুন অধ্যায়ে শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠনের মাধ্যমে একটি শিক্ষিত, নৈতিক, এবং দক্ষ প্রজন্ম গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার। এই লক্ষ্যে, দীর্ঘদিনের গবেষণা এবং পর্যালোচনার ভিত্তিতে, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও থিংকট্যাঙ্ক— বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থ্যট (বিআইআইটি)-এর পক্ষ থেকে শিক্ষা সংস্কারের লক্ষ্যে নিন্মোক্ত সুপারিশসহ উপস্থাপন করা যাচ্ছে-
শিক্ষানীতি সংক্রান্ত
১. জাতীয় আশা-আকাঙ্খা ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে শিক্ষাদর্শন, ভিশন, মিশন, এবং উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। দেশীয় স্বত্ত্বা ও মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে, কল্যাণমূখী রাষ্ট্র বিনির্মাণে, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন, দক্ষ এবং ভালো মানুষ গড়ে তোলাই প্রাধান্য পাওয়া উচিৎ জাতীয় শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে।
২. শিক্ষায় যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শহর-গ্রামীন ভেদাভেদ দূর করে ভারসাম্যপূর্ণ (রহপষঁংরাব) উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বিশেষভাবে বিবেচনায় নিয়ে, তাদের জন্য শিক্ষা বাজেটে অগ্রাধিকার নীতি চালু করতে হবে।
৩. বিগত বছরগুলোতে উচ্চশিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বিধায় উচ্চশিক্ষার মান ধরে রাখার জন্য সংখ্যা না বাড়িয়ে গুণগত মানের দিকে নজর দেয়া উচিত। এ লক্ষ্যে ঢাকা ও জেলার পরিবর্তে বিভাগীয় শহরে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন/আনুমোদন দেয়া যেতে পারে।
৪. দেশের শ্রম বাজার এবং বিশ্বশ্রমবাজারে জনশক্তি রপ্তানির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ডিপ্লোমা চালু করা উচিত, যাতে করে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা যায়। এ ছাড়া কারিগরি ধারায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করার জন্য কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সম্প্রসারণ, গবেষণা কার্যক্রম এবং শিক্ষা মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে জেলা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে কারিগরি শিক্ষার বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা উচিত।
৫. দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ঋঁষষু জবংবধৎপয ইধংবফ টহরাবৎংরঃু তে রুপান্তরিত করা। এ ছাড়া সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ৬০% ঞবধপযরহম ইধংবফ ্ ৪০% জবংবধৎপয ইধংবফ -এ উন্নীত করা।
৬. বাংলাদেশ প্রধানত কৃষিনির্ভর দেশ। তাই, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি উন্নত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাপক ভিত্তিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে।
৭. ১ম- ৪র্থ আন্তর্জাতিক মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে গৃহীত (১৯৭৭-১৯৮৩) মক্কা ডিক্লেয়ারেশনে বাংলাদেশ একটি স্বাক্্টকিারী দেশ হিসেবে গৃহিত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে যা- পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই, পরবর্তী শিক্ষা সংস্কার কমিশন অবশ্যই সেই ডিক্লেয়ারেশনে গৃহীত সুপারিশমালার বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিবে।
পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত
১. সকল ধারার শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সাধারণ বিষয় বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যা ইংরেজি মাধ্যম, বাংলা মাধ্যম, আলীয়া মাদ্রাসা বা কওমী মাদ্রাসা-সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। এসব বিষয়ের মধ্যে থাকবে: বাংলাদেশ পরিচিতি, ইতিহাস ও সভ্যতা, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ধর্ম শিক্ষা। পাশাপাশি, ভাষাগত দক্ষতা ও কম্পিউটার দক্ষতা অর্জনকেও বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২. জাতীয় শিক্ষাক্রমে অবশ্যই বাংলা, ইংরেজি এবং আরবি—তিনটি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে (আরবি পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ ভাষা, একই সাথে দেশের একটি বিশাল জনশক্তি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কর্মরত)।
৩. সকল স্তরের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচীতে জীবনমুখী দক্ষ্যতা এবং বিষয়ভিত্তিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের যথাযথ সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।
৪. জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় সকল স্তরে “ফান্ডামেন্টালস অব রিলিজিয়ন”(মুসলিমদের জন্য ফান্ডামেন্টালস অব ইসলাম) বিষয় বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৫. এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ের সাথে ‘প্রাসঙ্গিক ধর্মীয় কোর্স’ বাধ্যতামূলক করতে হবে। যেমন, অর্থনীতিতে ইসলামী অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ইসলামি রাষ্ট্রচিন্তা, আইনে ইসলামিক লিগ্যাল থিওরি ইত্যাদি।
৬. আমাদের দেশের শিল্প এবং অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর সাথে মিল রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভাগ চালু ও শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করা, যাতে করে আমাদের দেশকে ভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়োগ করতে না হয় (টিআইবি’র তথ্যমতে বাংলাদেশে ৫ লাখ ভারতীয় কর্মরত আছে)। যে বিষয়ে আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার, সেই পরিমাণ জনশক্তি তৈরিতে ব্যর্থ হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃব রহঃবৎবংঃ-এ সংযুক্ত অপ্রয়োজনীয় পাঠ্যবিষয়গুলো বাদ দিয়ে ংড়পরধষ রহঃবৎবংঃ-এ প্রয়োজনীয় নতুন বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একই সাথে, শ্রমবাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যেসব বিষয়ের বাস্তব প্রয়োগ নেই, সেগুলোকে ধীরে ধীরে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সাথে একীভূত করে বিলুপ্ত করতে হবে।
৭. কওমী মাদ্রাসায় ভালো আলেম গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ও কওমী শিক্ষাব্যবস্থার স্বকীয়তা বজায় রেখে সিলেবাসকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে কওমী শিক্ষাবোর্ড ও অন্যান্য বোর্ডের মতো ক্ষমতায়িত করে শিক্ষকদের শিখন দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় শিক্ষকদের সরকারী এমপিও ভুক্তি করা যেতে পারে।
৮. আলিয়া ও কওমী মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের গধরহংঃৎবধস-এ, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাদ্রাসার ইসলামি বিষয়ের সাথে সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, এবং বাধ্যতামূলকভাবে ভাষা ও তথ্যপ্রযুক্তি দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি, মাদ্রাসা শিক্ষায় কারিগরি শিক্ষা ব্যাপকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণার ক্ষেত্রও তৈরি করতে হবে।
শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত
১. সকল স্তরের শিক্ষকদের জন্য ‘ চবফধমড়মু ঝশরষষং (অৎঃ ড়ভ ঞবধপযরহম)-এর পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক শিক্ষণ প্রশিক্ষণ (ঝঁনলবপঃ নধংবফ ঞবধপযরহম গবঃযড়ফ) বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য জাতীয়ভাবে পৃথক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট চালু করতে হবে- যেখানে শিক্ষকদের ঢ়ৎব-ংবৎারপব ও রহ-ংবৎারপব প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া ঐ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষকদের বাধ্যতামূলক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিদেশি ডিগ্রীধারী হতে হবে।
৩. প্রাথমিক স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষকদের সবার জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের মাধ্যমে শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া মেধাবীরা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, এ লক্ষ্যে জেএসসি, পিএসসির আদলে ‘এডুকেশন সার্ভিস কমিশন’(ইএমসি) গঠন করতে হবে- যা অন্যান্য কর্মক্ষেত্রের তুলনায় সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বৈষম্যবিহীন হবে।
মূল্যায়ন সংক্রান্ত
১. সব লেভেলের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, ব্যবহারিক দক্ষতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও নৈতিক মূল্যবোধের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হবে (বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ৫০%, বিশেষায়িত জ্ঞান ২০%, জীবনমুখী দক্ষতা ১০%, নীতিনৈতিকতা ও মূল্যবোধ ১০%, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ ১০%)। ২. সব লেভেলের শিক্ষক মূল্যায়নেও অনুরুপ/কাছাকাছি ব্যাবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের লেভেলের শিক্ষকদের টিচিং ও গবেষণায় যথাক্রমে নূন্যতম ৬০% ও ৪০% হারে মূল্যায়ন ব্যবস্থা থাকা দরকার।
ব্যাবস্থাপনা সংক্রান্ত
১. সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (ঊফঁপধঃরড়হধষ গধহধমবসবহঃ ধহফ খবধফবৎংযরঢ়) ডিগ্রি থাকতে হবে।
২. সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনায় বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষানুরাগী শিক্ষক-শিক্ষাবিদ সদস্য, দাতা সদস্যের বাহিরে উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এ ছাড়া একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে কমিটিতে আওতাভুক্ত করা উচিত।
৩.জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অভভরষরধঃরহম টহরাবৎংরঃু-র মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন ও মনিটরিং-এর ব্যবস্থা করা- যাতে যত্রতত্র কলেজ-মাদ্রাসা গড়ে উঠতে না পারে এবং দক্ষ গ্র্যাজুয়েট বের হতে পারে।
৪.জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় সংকট মোকাবেলায় দ্রুত শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন, পরবর্তীতে শিক্ষা কমিশন গঠন অথবা জাতীয় করতে হবে। যেখানে শিক্ষানীতি, শিক্ষাক্রম, পাঠ্যক্রম ও শিক্ষাব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিত্ব, দেশের শিল্প এবং শ্রমবাজারের সাথে পরিচিত ব্যক্তিত্ব এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। কেবলমাত্র নিদিষ্ট ভিশন (ঠরংরড়হ) ও সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত (ঈড়সসরঃসবহঃ) ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। যদিও, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে, তবুও, সমন্বিত শিক্ষাকার্যক্রমের পথে এখনো বহু বাধা বিপত্তি রয়েছে, যা অনতিবিলম্বে, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি- এ তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। তবে বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কার ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com