উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। প্রতি ডজন ডিমের দাম হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। বুধবার (১৬ই অক্টোবর) থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে। মঙ্গলবার ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান এ কথা জানান। তিনি বলেন, উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। ডিমের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করতে বাজারে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সে কারণে তেজগাঁও আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
অবশ্য, সাম্প্রতিক অভিযানে ডিমের দামে তেমন একটা প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। বরং তেজগাঁও আড়তের মতো কিছু কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় ডিম বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ঘাটতি তৈরি হয়েছে সরবরাহে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে। এছাড়া পাড়া-মহল্লায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
প্রতি ডজন ডিম ১৩০ টাকায় বিক্রি করবে সরকার
সরকারের কৃষি ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ঢাকার ২০টি জায়গায় সুলভ মূল্যে দশটি কৃষি পণ্য বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর খাদ্য ভবনের সামনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করে তিনি বলেন ভোক্তারা যাতে সুলভ মূল্যে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু পায় সেজন্য এ উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ২০টি স্থানে ট্রাক সেলের মাধ্যমে এসব কৃষিপণ্য বিক্রয় করা হবে। যেসব জায়গায় বিক্রি হবে সেগুলো হলো- খাদ্য ভবন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, মিরপুর-১০, বাসাবো, বসিলা, রায়ের বাজার, রাজারবাগ, মুগদা-উত্তর, মুগদা-দক্ষিণ, পলাশী মোড়, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, গাবতলি, মহাখালী বাস স্ট্যান্ড, বেগুনবাড়ি, উত্তরখান, দক্ষিণ খান, কামরাঙ্গীরচর, রামপুরা ও ঝিগাতলা। অন্যদিকে, এই কর্মসূচির আওতায় জন প্রতি এক কেজি আলু ৩০ টাকা, এক ডজন ডিম ১৩০ টাকা, এক কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, ১ কেজি কাঁচা পেঁপে ২০ টাকায় এবং পাঁচ কেজি বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক-সবজি প্যাকেজ আকারে বিক্রি করা হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।