ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে যুব গণর্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও খাদ্য দিবসে ছয়টি দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে মাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণায়ের উপদেষ্টার কাছে বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ ও কালীগঞ্জ ইয়ুথ এগেইনস্ট হাঙ্গারে পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়। ১৬ অক্টোবর (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টায় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে যুব গণর্যালীর উদ্বোধন করেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শাহিন আলম। অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহবুব আলম রনি। যুব-গণর্যালী উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহাদী হাসান সিহাব, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা স.ম রাশিদুল আলম, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা মো: খাইরুল হক, সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের পরিচালক শিবুপদ বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু প্রভাত কুমার ব্যানার্জী, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের প্রোগ্রাম অফিসার শাহজাহান আলী বিপাশ, বিএনএসকেএস সভানেত্রী মনোয়ারা খাতুন, কালীগঞ্জ ইয়ুথ এগেইনস্ট হাঙ্গারের সভাপতি ফাওজুর রহমান সাবিত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তানভির হোসনে মুন্না প্রমুখ।স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর,
বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, কালীগঞ্জ ইয়ুথ এগেইনস্ট হাঙ্গার, বিকশিত নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থা, বাংলাদেশ ছায়া যুব সংসদ ও সুনিকেতন পাঠশালার যৌথ আয়োজনে যুব-গণর্যালীটি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে কালীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বলিদপাড়াস্থ সুনিকেতন পাঠশালা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। যুব গণর্যালীতে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজে প্রায় ১৫০জন শিক্ষার্থী বাইসাইকেল নিয়ে অংশ নেন। যুব গণর্যালী থেকে বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদের পক্ষ থেকে (১) খাদ্য অধিকার আইন চাই(২) খাদ্য অধিকার নিশ্চিতে কর্ম অধিকারের নিশ্চয়তা, (৩) খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা সম্পর্কিত নীতি ও কর্মসূচী বাস্তবায়নে যুব অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, (৪) পাঠ্য পুস্তকে খাদ্য ও পুষ্টি শিক্ষা জোরদার করা (৫) মা ও শিশুকে অগ্রাধিকার দিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সহায়তা বিশেষ কর্মসূচী নেয়া (৬) ইউনিয়ন ও পুষ্টি নিরাপত্তা কমিটি গঠন এবং স্বাস্থ ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সমুহ পুষ্টিবিদ নিয়োগ দেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: দেদারুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।