বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী ও অডিট প্রতিবেদন জমা না দেওয়া ৩২ ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের অর্থছাড় স্থগিত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ৫ আগস্টের পর সভাপতিদের বিষয়ে তথ্য না দেওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ আরো পাঁচ ফেডারেশনের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নিয়েছে এনএসসি। সব মিলিয়ে ৩৭ ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনকে আপাতত কোনো অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর্থিক বিবরণী জমা দেওয়ার কথা।
যে ৩২টি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন তা জমা দেয়নি, সেগুলো হলো—সাইক্লিং, উশু, দাবা, কাবাডি, স্কোয়াশ, কারাতে, শ্যুটিং, অ্যাথলেটিকস, গলফ, জিমন্যাস্টিকস, রোইং, শরীর গঠন, ব্রীজ, বেসবল, সেপাক টাকরো, বাশাআপ, প্যারা আর্চারি, মাউন্টেনিয়ারিং, থ্রোবল, কান্ট্রি গেমস, মার্শাল আর্ট, ঘুড়ি, কিকবক্সিং, আন্তর্জাতিক তায়কোয়ান্দো, ব্যুথান, সার্ফিং, ইয়োগা, চুকবল, জুজুৎসু, খিউকুশীন, হকি ও টেনিস। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেশির ভাগ ফেডারেশন সভাপতিই আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাঁদের অনুপস্থিতির ব্যাপারে তথ্য জানতে চেয়েছিল ফেডারেশনগুলোতে। সেই তথ্যও প্রদান করেনি মোট ১৭ ফেডারেশন ও বোর্ড।
এগুলো হলো—ক্রিকেট, ভলিবল, ভারোত্তোলন, বিলিয়ার্ড, স্কোয়াশ, সুইমিংস, রোইং, হকি, আন্তর্জাতিক তায়কোয়ান্দো, কিকবক্সিং, গুড়ি, বাশাআপ, ব্রীজ, শরীর গঠন, অ্যাথলেটিকস, খিউকুশীন ও বুত্থান।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এর মধ্যেই অবশ্য সব সভাপতিকে অপসারণ করা হয়েছে। ক্রিকেট বোর্ডে নতুন সভাপতিও এসেছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে ক্রীড়া পরিষদকে সহযোগিতা না করাতেই অর্থ বরাদ্দ স্থগিতের সিদ্ধান্ত।