আওয়ামী ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশে বৈষম্যহীন অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ গঠনে ভোটের মাধ্যমে রাস্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে। দুর্নীতিবাজ-দখলবাজদের ঠাঁই বিএনপিতে হবেনা। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিলো আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। ওইদিন দেশপ্রেমিক সিপাহী জনতা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাস্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে বাংলাদেশে এক নতুন ইতিহাস রচনা করে। ০৯ নভেম্বর শনিবার সকালে মোংলার রিমঝিম চত্বরে মোংলা পৌর ও উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জনসভায় নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। শনিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র মোঃ জুলফিকার আলী। জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলম। জনসভায় বক্তব্য রাখেন মোংলা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ রুস্তম আলী, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মান্নান হাওলাদার, বিএনপি নেতা এমরান হোসেন, মোঃ জসিম উদ্দিন, খোরশেদ আলম, আবু হোসেন পনি, মোঃ আলাউদ্দিন, আঃ কাদের প্রমূখ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর আলম বলেন ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হলেও গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো কিন্তু থেমে নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ভিন্ন মোড়কে যেন ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে। দেশে শান্তি সম্প্রীতি স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ভোটের মাধ্যমে রাস্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী-নৌবাহিনীর কারনে ফ্যাসিবাদ পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। সবাইকে সাথে নিয়ে দেশ গড়তে হবে। মোংলা একটি শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। শ্রমিকের স্বার্থবিরোধী কোন কাজ করা যাবেনা। সভাপতির বক্তব্যে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ জুলফিকার আলী বলেন ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী আধিপত্য বিরোধী প্রতিটি নাগরিকের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক বিপ্লবের মুহূর্ত। বিপ্লবী সিপাহী জনতার দেশপ্রেমে সেদিন রক্ষা পেয়েছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জনসভা শেষে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বন্দর নগরী মোংলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।