দু’দিন আগে ঘরের মাঠেও হাপিত্যেশ করছিল যে দল, সেই পাকিস্তান এবার অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ হারের তিক্ত স্বাদ দিলো তাদের মাঠেই। চিরায়ত শক্তি পেস বোলারদের দাপটে কাঁপন ধরিয়েছে তারা অজি সম্রাজ্যে। গত প্রায় দুই যুগে যার দেখা পায়নি পাকিস্তান।
তিন ন্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ শেষে স্কোর ছিল ১-১। আজ (রোববার) তৃতীয় ম্যাচটা ছিল তাই অলিখিত ফাইনাল। যেখানে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। পার্থে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের তোপে পড়ে অজিরা। ৩১.৫ ওভারে ১৪০ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহে নেন ৩টি করে উইকেট। জবাবে ২৬.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। এর আগে ২০০২ সালের জুনে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ানডে সিরিজ জিতে পাকিস্তান। এরপর এ পর্যন্ত সেই স্বাদ আর পাওয়া হয়নি পাকিস্তানের। যেই নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুবদের হাত ধরে নিশ্চিত হলো সিরিজ জয়; তাদের তখন হয়তো জন্মই নেননি।
অথচ প্রায় হারতে হারতে প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে ছিল অজিরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আর ভুল করেনি পাকিস্তান। আর আজ তৃতীয় ম্যাচে এসেও ছন্দ ধরে রাখেন পাকিস্তানি পেসাররা। যাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি অজিরা। চার পেসারের তোপের মুখে মাত্র ৮৮ রানে ছয় উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ৭ রান করা জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে বিদায় করেন নাসিম। ১৩ বলে ১২ রান করা অ্যারন হার্ডিকে বিদায় করেন আফ্রিদি। অধিনায়ক ইংলিসও (৭) কিছু করতে পারেননি। এরপর ২২ রান করা ওপেনার ম্যাথু শর্টকে ফেরান হারিস। তবে অষ্টম উইকেটে অ্যাডাম জাম্পাকে সাথে ৩০ রানের জুটি করে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১০০ পার করেন শন অ্যাবট। ২২ বলে ১৩ রান করে জাম্পা আউট হন নাসিমের বলে। আর নবম উইকেটে স্পেন্সার জনসনকে নিয়ে ২২ রানের জুটি করে অস্ট্রেলিয়ার রান দেড় শ’র কাছাকাছি পৌঁছে দেন অ্যাবট। ৪১ বলে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। স্পেন্সার আউট হন ১২ রান করে। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন আফ্রিদি ও নাসিম। দুটি উইকেট নেন হারিস, একটি নেন হাসনাইন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৮৪ রান তোলেন সাইম আইয়ুব ও আবদুল্লাহ শফিক। তবে এক রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকেই ফেরান ল্যান্স মরিস। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে শফিক এবং সাইমকে ফেরান তিনি। ফেরার আগে ৫৩ বলে ৩৭ রান আসে শফিকের ব্যাটে। সাইম আউট হন ৫২ বলে ৪২ রান করে। এরপর ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বাবর আজম ও রিজওয়ান। ৩০ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন বাবর। ২৭ বলে ৩০ রান আসে রিজওয়ানের ব্যাটে।