বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দাউদকান্দিতে ১৭ বছরেও পাকা হয়নি ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা: সেবা নিতে আসা মানুষের চরম দুর্ভোগ রংপুরে সড়ক পরিবহন আইন ও ট্রাফিক সংক্রান্ত সচেতনতা মুলক সভা শ্রীমঙ্গলে লোকালয় থেকে রেসাস বানর উদ্ধার আওয়ামীল লীগ ক্যাডার নজরুল সিন্টিকেটের দখলে ৩০ একর বনভূমি দেওয়ানগঞ্জে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা গলাচিপায় নবাগত উপজেলা প্রশাসনের সাথে রাজনৈতিক দলের মতবিনিময় সভা বাউফলে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ কেরানীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভা পিরোজপুরে দুই ক্ষুদে হাফেজকে সংবর্ধনা গোবিন্দগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক

ভারত-চীন–পাকিস্তানসহ ১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪

বিশ্বের ১৪টি দেশের শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভিসা কর্মসূচি ফাস্ট ট্র্যাক স্টাডি ভিসা (স্টুডেন্ট ডিরেক্ট স্ট্রিম) প্রোগ্রাম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। আবাসন ও সম্পদের সংকটের কথা জানিয়ে দেশটি এ কথা জানিয়েছে। তবে সব দেশের শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ দেওয়ায় বিশ্বাসী বলেও দেশটি জানিয়েছে।
১৪টি দেশের মধ্যে অন্যতম দেশগুলো হলো ভারত, পাকিস্তান, ব্রাজিল, চীন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, মরক্কো, পেরু, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম। এসব দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে কানাডা। ২০১৮ সালে এসব দেশের শিক্ষার্থীদের সহজ ও দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য স্টুডেন্ট ডিরেক্ট স্ট্রিম ভিসা (এসডিএস) ভিসা প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছিল।
কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ববিষয়ক সংস্থা (আইআরসিসি) গত শুক্রবার জানিয়েছে, এসডিএস ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করা হলো। আবাসন ও সম্পদের সংকটের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সব দেশের শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ দেওয়ায় বিশ্বাসী বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এসডিএস ভিসা বন্ধের প্রভাব পড়তে পারে কানাডায় পড়তে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর। স্টুডেন্ট ডিরেক্ট স্ট্রিমের মাধ্যমে ভিসায় আবেদন করার ক্ষেত্রে সময় কম লাগত এবং অ্যাপ্রুভাল রেটও বেশি থাকত।
এই স্কিমের আওতায় ৮ নভেম্বর বেলা দুইটা পর্যন্ত প্রাপ্ত আবেদনগুলো গ্রহণ করা হবে। এরপর সব আবেদন নিয়মিত স্টাডি পারমিটের অধীন প্রক্রিয়া করা হবে। এর আগে গত ১ নভেম্বর থেকে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের (পিজিডব্লিউপি) সংশোধিত নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছে কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ববিষয়ক সংস্থা (আইআরসিসি)। এ নিয়মে বিদেশি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে কলেজ স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যেসব শিক্ষার্থী আগামী ১ নভেম্বরের আগে স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করেছেন বা পেয়েছেন, তাঁরা বিদ্যমান নিয়মের অধীনে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের যোগ্য হবেন। আর যাঁরা এই সময়ের সময়ে বা তার পরে আবেদন করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে। নতুন এই নিয়মে কলেজ ও নন-ডিগ্রি প্রোগ্রাম থেকে স্নাতকদের জন্য সুযোগ থাকবে। আইআরসিসি নিশ্চিত করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রের ওপর ভিত্তি করে কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই তিন বছর পর্যন্ত পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের যোগ্য থাকবেন। আর কলেজ স্নাতকদের জন্য কিছু প্রোগ্রামে নতুন নিয়মের অধীনে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
এদিকে গত সেপ্টেম্বর মাসেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, এই বছর থেকে স্টুডেন্ট পারমিট ৩৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে আরও ১০ শতাংশ ভিসার হার কমবে।
১ নভেম্বর থেকে কলেজ প্রোগ্রামের স্নাতকদের অবশ্যই পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের যোগ্যতা অর্জনের জন্য নির্ধারিত বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করতে হবে। আইআরসিসি নির্ধারিত ৯৬৬টি প্রোগ্রাম তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে কৃষি ও কৃষিখাদ্য; স্বাস্থ্যসেবা; সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স (স্টেম); স্কিলড ট্রেড এবং ট্রান্সপোর্টেশন-এই পাঁচ বিষয় তালিকাভুক্ত প্রোগ্রামগুলোকে কভার করবে।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে ঐতিহ্যগতভাবে জনপ্রিয় ক্ষেত্র যেমন ট্যুরিজম, হসপিটালিটি ও বিজনেস স্টাডিজ বিষয়গুলো এই তালিকায় রাখা হয়নি। এতে কানাডায় কাজের সুযোগ খুঁজছেন, এমন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের যোগ্যতা সীমিত করার সিদ্ধান্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে বিদেশি শিক্ষার্থী, যারা এখন পড়াশোনার বিষয়গত কারণে অযোগ্য বলে বিবেচিত, তারা সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের মধ্যে আছে। ওল্ডস কলেজের রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর কারেন ড্যান্সি লিংকডইনে বলেন, তালিকায় হসপিটালিটি বিশেষভাবে অনুপস্থিত। এটি গ্রামীণ, প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ স্থানীয়দের জন্য বিপর্যয়কর হবে। বিশেষ করে সেই সব বিদেশি শিক্ষার্থী, যাঁরা এই কলেজে পড়াশোনা করছেন।
পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদনকারী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নির্দিষ্ট ভাষার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীদের অনুমোদিত ভাষা পরীক্ষার মাধ্যমে ইংরেজি বা ফরাসি ভাষায় তাঁদের দক্ষতার প্রমাণ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের জন্য ইংরেজিতে কানাডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ বেঞ্চমার্কস (সিএলবি) ৭ বা ফরাসি ভাষায় তার সমমান নিভেক্স দ্য কমপিটেন্স লিঙ্গুইস্টিকস কানাডিয়ান (এনসিএলসি) স্কোর ৭ থাকতে হবে। কলেজ স্নাতকদের চারটি ভাষার ক্ষেত্রে (পড়া, লেখা, শোনা এবং কথা বলা) অবশ্যই সিএলবি স্কোর ৫ বা এনসিএলসি স্কোর ৫-এর যেকোনো একটি পূরণ করতে হবে।
নতুন এই নিয়মে পড়াশোনা শেষে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যোগ্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দ্য টরন্টো স্টারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে ১ লাখ ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কলেজ প্রোগ্রামের স্নাতকদের ৬৪ শতাংশ এই সুযোগ পেয়েছেন। শুধু বিজনেস স্টাডিজের ৪২ শতাংশ স্নাতক এই সুযোগ পেয়েছেন ৪২ শতাংশ আর স্টেমের সবগুলো ক্ষেত্র থেকে এই সুযোগ পেছেন ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। এবার নতুন নিয়মের আওতায় এই স্নাতকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, বিশেষ করে যাঁরা বিজনেস স্টাডিজ ও তালিকার বাইরে থাকা ক্ষেত্রগুলোতে পড়াশোনা করছেন, তাঁরা ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com