সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের মাঠে পশুর হাট বসানো হয় প্রতি বৃহস্পতিবার। কোরবানীর ঈদ ও রোজার ঈদে গরু-ছাগলের হাট লাগানো হয় মাসব্যাপী। বিশেষ করে, বৃহস্পতিবার হাটের কারণে কলেজ বন্ধ থাকে। এদিকে নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মো. বেলাল হোসেন আনসারী বলেন, বৃহস্পতিবার কলেজ খোলা রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পশুর হাটে প্রচুর জনসমাগম ঘটে। এজন্য ছাত্রছাত্রী কম হয়। যারা যারা ঝুঁকি নিয়ে আসেন, তাদের নিরাপদে হাটের সীমানা পাড় করে দিতে হয়। নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের বিএ চুড়ান্ত বর্ষের ছাত্র নুরুন্নবী ও জাকারিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার কলেজ মাঠে পশুর হাটের কারণে লোকজনের মধ্যে ছাত্রদের যাতায়াত করাই মুশকিল। ছাত্রীদের কেনোভাবেই সম্ভব নয় হাটের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করা। সপ্তাহে একদিন কলেজ বন্ধ থাকায় পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছি আমরা। সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে দেখা গেছে, নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজ মাঠের মধ্যেখানে ছাগলের হাট বসেছে। তখনো হাট পুরোদমে লাগেনি। অনেক লোকজন হাটে এসেছেন ছাগল নিয়ে। ইজারাদারের লোকজন খাজনা আদায় করছেন। কলেজ বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী হাটগুলোর মধ্যে নওগাঁ হাট অন্যতম। এ হাটের অবস্থান সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও নাটোর জেলার সীমান্তবর্তী। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিও বেশি। তাছাড়া ইজারা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী হাটের সীমানার বাইরে কোনো প্রকার হাট লাগানো ও খাজনা আদায় করা যাবে না। নওগাঁ হাটের ইজারাদার হাই চৌধুরী বলেন, আগে থেকেই কলেজ মাঠে হাট বসে। আমরা ইজারা নেওয়ার পর কলেজ মাঠ পরিস্কার করি প্রতি শুক্রবার। নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নওগাঁ ইউনিয়ন হাট-বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মজনু সরকার বলেন, আমি বহুবার নিষেধ করেছি কলেজ মাঠে হাট বসানো যাবেনা। ইজারাদার মানতে নারাজ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, কলেজ মাঠে পশুর হাট বসানোর কোনো বিধান নাই। আমি ব্যবস্থা নেব। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের সভাপতি সুইচিং মং মারমা দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, হাট পেরিফেরি এলাকার বাইরে কোনো হাট-বাজার বসানো যাবেনা, খাজনা আদায় করা যাবেনা। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।