পাহাড়ি এলাকার পরিবর্তে সমতল ভূমিতে কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন ময়মনসিংহের ভালুকার শহিদ আহমেদ। দুই বছর আগে কৃষি প্রকল্পের আওতায় ও নিজ উদ্যোগে ইউটিউব দেখে শুরু করেন কমলা চাষ। উপজেলার আংগারগারা ইউনিয়নের আখালিয়া গ্রামের শহিদ আহমেদ জানান, তিনি মূলত একজন কৃষি উদ্যোক্তা। পোল্ট্রি ফার্ম, মাল্টা ফল চাষ সহ বিভিন্ন কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন। ইউটিউব দেখে অনেকটা আগ্রহের বসে ২ বছর আগে আখালিয়া গ্রামে তিন বিঘা জমিতে চায়না কমলার বাগান করেন। পরিচর্যার পর ২০ মাসের মাথায় গাছে কমলা ধরে। এ কমলা অবিকল চায়নার কমলার মতো দেখতে। রং ও স্বাদে একই রকম। প্রতিটি গাছে গড়ে ৫০ থেকে ৫৫ কেজি করে কমলা ধরেছে। তিনি জানান, কমলা চাষে খরচ কম লাগে। দর্শনার্থীদের দেখার জন্য কমলা গাছেই রেখে দিয়েছেন। খেতে দিচ্ছেন এ কমলা। তিনি আরও জানান, কমলা চাষে এই পর্যন্ত যা খরচ ছিলো ইতিমধ্যেই কমলা বিক্রি করে তা আয় হয়ে গেছে। এখন যা বিক্রি হবে তা তার লাভ থাকবে। কমলা বাগানে কাজ করে কয়েকজন কর্মচারীও পারিবারিক চাহিদা পূরণ করতে পেরে বেশ খুশি। কয়েকজন কর্মচারীর সাথে কথা বললে তারা জানান, শুরু থেকেই তারা এই বাগানে কাজ করেন। নিজেরা পারিবারিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন পাশাপাশি বাগান উদ্যোক্তার সফলতায়ও তারা আনন্দিত। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান জানান, কমলা চাষে এই উদ্যোক্তাকে কৃষি অফিস থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হয়েছে। ভালো ফলন পেতে সব সময় নানা রকম পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।