মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভুলনীতির কারণে মানুষের জীবন জীবিকাকে নষ্ট করে দিচ্ছে এগুলো আমরা সংশোধন করবো। জলাশয় গুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে বাণিজ্য স্থান হিসাবে ব্যবহার করতে না দেয়ার আহ্বান জানান। গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কেএনবি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও তিস্তা নদী রক্ষা কমিটি, প্রান্তিক খামারি ও মৎস্যজীবী সমিতি আয়োজিত গণসমাবেশ অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা আরও বলেন এখন তিস্তা নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ বন্ধ করা হলে নদী ও জলাশয়ে দেশীয় মাছের সরবরাহ বাড়বে। এই নদীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখলে মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্তরবর্তীকালীন সরকারের একটা টেকনিক্যাল কমিটমেন্ট থাকবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ফরিদ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্নার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ পরিচালক ড. নজরুল ইসলাম, প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. জসিম উদ্দিন, রংপুর জেলা মৎস্য অফিসার ডা. সালাহউদ্দিন কবির, জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. আবু সাইদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন গঙ্গাচড়া উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় উপদেষ্টা উপস্থিত প্রান্তিক খামারি ও মৎস্যজীবীদের সাথে কথা বলেন। এর আগে উপদেষ্টা সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরের ইকো হ্যারিটেজ হোটেল এন্ড রিসোর্টে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলাসমুহের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।