অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ, বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জণগন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা আয়োজনে মোংলায় কারিতাস খুলনা অঞ্চলের আয়োজনে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় দিবসটি উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়, বাংলাদেশ প্রবীণ, প্রতিবন্ধী এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প (এসডিডিবি) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস খুলনা অঞ্চলের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদের অফিসার্স ক্লাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম মাসুদ রানা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরৎ জাহান, কারিতাস এসডিডিবি প্রকল্পের মোংলা কর্মকর্তা মিতা হালদার সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদেরই আপনজন ও প্রতিবেশী। বর্তমান বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা প্রতিনিয়তই পিছিয়ে পড়ছে বা বাদ পড়ছে। যার ফলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অনেকটা ধীর হচ্ছে। এই বিশ্ব বিনির্মাণে প্রতিটি ব্যক্তির অবদান রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অবদানও কম নয়। তাই এই উন্নয়নের যাত্রায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারেন। বক্তারা আরো বলেন, আমরা যারা স্বাভাবিক রয়েছি প্রত্যেকের উচিত অঙ্গীকার করা যেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করি এবং সমান সুযোগের মাধ্যমে উন্নয়নের গতিশীলতা বৃদ্ধি করি। সভা শেষে কারিতাস খুলনা অঞ্চলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা, প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ, খেলাধুলা প্রতিযোগীতা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার, প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও গবাদিপশুসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের তত্বাবধানে ১৯৯২ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতার প্রসার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদা সমুন্নতকরণ, অধিকার সুরক্ষা, এবং উন্নতি সাধন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়। শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই এই দিবসটির সূচনা। বিশ্বজুড়ে প্রতিবন্ধী দিবসের অনুগামিতার পিছনে আছে এক ঘটনাবহুল জীবনস্মৃতি।