কুমিল্লার তিতাসে হাবাতিয়া নদীর কাকিয়াখালী সেতুর বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু দিয়ে যানবাহন ও তিন ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন প্রতিদিন। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে যেকোনো সময় সেতুটি ধসে পরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দশ বছর ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয় বছর আগে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু লেখা সাইনবোর্ড স্থাপন করা হলেও সেটি চুরি হয়ে গেছে। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের কাকিয়াখালী গ্রামসংলগ্ন হাবাতিয়া নদীর ওপর ২০০৬ সালে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। বর্ষা মৌসুমে শত শত বালুবাহী বাল্কহেড উক্ত সেতুর নিচ দিয়ে যাতায়াত করে। ফলে সেতুর মাঝের চারটি পিলারের বাল্কহেডের ধাক্কায় ঢালাই ভেঙে গিয়ে রড বাহির হয়ে গেছে। এক একটি পিলারের প্রায় ৫ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতুটি দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচলের সময় কেঁপে উঠে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে যাত্রীরা এ পথে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, বালুবাহী বাল্কহেডের কারণে সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের শেষের দিকে উপজেলা প্রশাসন থেকে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। মজিদপুর গ্রামের মোঃ আনিছ বলেন, দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়ন, জগতপুর ইউনিয়ন ও সাতানী ইউনিয়নের লোকজন মোহনপুর হয়ে কাকিয়াখালী সেতু দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করছে। মজিদপুর বাজার স্টেশনের সিএনজিচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, মজিদপুর বাজার থেকে ৭০টি সিএনজি ও ৭০টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুধঘাটা বাজার, মোহনপুর স্টেশন, কালির বাজার ও উজিরাকান্দি বাজারে যাতায়াত করে। সেতুটি দিয়ে চলাচলের সময় নড়াচড়া করে কেঁপে উঠে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সাপোর্টিং রোলার ব্রিজ নির্মাণের আওতায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ এসে পরিদর্শন করে নকশা তৈরি করেছে। অনুমোদন পেলে কাকিয়াখালী নদীর ওপর দ্রুত সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে।