কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় দাউদকান্দির আমিরাবাদস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা এই অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। মহাসড়কের অবরোধের খবর পেয়ে যৌথবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন ও তাদের দাবি-দাওয়া শুনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তাদের করা ঘন্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধ ও বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে সন্ত্রাস, অনিয়ম, দুর্নীতি ও দালালমুক্ত করার দাবীতে আমরা সড়কে নেমেছি। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাব্বির আহম্মদ শুভ ও জুবায়ের বলেন, বিএনপি নেতা রুহুল আমিন কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। বিভিন্ন অনিয়ম করে। কলেজের লাইব্রেরি দখল করে। তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জিহাদ ভূঁইয়া, ফয়সাল ও মিনহাজ বলেন, আমরা সন্ত্রাস মুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই। আমরা লেখাপড়ার সুন্দর পরিবেশ চাই। এদিকে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রুহুর আমিন বলেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি স্কুলের সভাপতি প্রার্থী হয়েছি এটাই আমার অপরাধ। আমি কোন লাইব্রেরি দখল করিনি। এটা আমাদের ছিলো। আমরা নিয়মিত তার ভাড়ার টাকাও দিয়ে আসছি। কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। আমি সভাপতি হলে সঠিক হিসাব নিবো। তাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবু ওবায়েদ বলেন, সড়ক অবরোধ করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে ঢাকামুখী লেনে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে তারা অবরোধ তুলে নিলে হাইওয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে। দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। আমরা তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছি কলেজে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- চলতে দেয়া হবে না। আমাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা মহাসড়ক অবরোধ তুলে নেন। দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাঈমা ইসলাম বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। রুহুল আমিন নামের এক বিএনপি (যুবদল) নেতার নাম এসেছে। আমরা এ ব্যাপারে বিএনপির স্থানীয় সিনিয়র নেতাদের অবহিত করবো। এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির নামে লিখিত অভিযোগ পেলে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।