আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ক্যাডারদের প্রত্যক্ষ হামলা ও অস্ত্র দিয়ে নৃসংষভাবে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠ পর্যায়ের এক স্বেচ্ছাবেক দলের সভাপতিকে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পিরোজপুর প্রেসক্লাবে রোববার দুপুরে লিখিত এক অভিযোগ পত্রে বিভৎস এসব চিত্র উঠে এসেছে। সংবাদ সম্মেলনে পঙ্গুত্ববরনকারি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ শেখের ছোট ভাই আনিস শেখ ও তার মা মিনারা বেগম অশ্রুজলে সিক্ত হয়ে পৈশাচিক এসব ঘটনার বিবরন তুলে ধরেন গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চাচা হেমায়েত খান, সাকিল খান, নূর ইসলাম শেখ, মোঃ হায়দার শেখ ও ফেরদৌস খান। গত ৬ অক্টোবর ২০১৪ সালে ফরজের নামাজের পরে হালকা নাস্তা শেষে ধান মারাই করার একটি মেশিন ক্রয় করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বাগেরহাটের দিকে রওয়ানা করিয়া পশ্চিম ছোট বুইচাকাঠী কুদির বাড়ির ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছালে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সন্রাসী বাহিনীর প্রধান নেতা তৎকালীন উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি মোশারেফ হোসেন খান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ বেশ কিছু সংখক নেতা কর্মীরা, মোঃ হানিফ শেখ’কে জি আই পাইপ, হকিস্টিক সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধম ভাবে মারপিট করে নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের অফিসের সামনে এনে, আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে, মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে পথচারীরা তাকে নাজিরপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কিন্তুু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরে বাড়ি আসে। বর্তমানে হানিফ শেখ কোনো কর্ম করতে পারে না এবং প্রায় সময়ই চিকিৎসা নিতে হয়। তাই ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এবং এলাকার বাসিন্দারা উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিচারের জন্য জোর দাবি জানান। সেই সাথে মো: হানিফ শেখের সুচিকিৎসা পেতে পারে, তাঁর নিশ্চিয়তার দাবি করছেন।