শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে কৃষকের বাড়ির চারপাশ ঘিরে দিলো প্রতিবেশীরা বিশ্বের ২৩টি দেশের সমন্বয়ে রূপগঞ্জে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গবেষণাধর্মী আন্তর্জাতিক সম্মেলন এসটিআই-৫ ‘হিউম্যান রাইটস্ পিস অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন লালমোহনের সবুজ সাটুরিয়ায় সৈয়দ কালু শাহ্ কলেজের নবীন বরণ উলিপুরে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ বিষয়ক ক্যাম্পেইন কালীগঞ্জে বিআইডব্লিউটিএ’র কাজ ও শীতলক্ষ্যা পরিদর্শনে ইউএনও ফ্যাসিবাদের পক্ষে বলার অভিযোগে ইউএনওকে প্রত্যাহারের নির্দেশ শ্রীমঙ্গলে মরহুম ছাত্রদল নেতা আইয়ুব-উর রহমান স্মরণে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন কয়রায় বিআরডিবি ইউরেসপো প্রকল্পের ম্যানেজার সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন নেত্রকোনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

মানবিক ডা. আসাদুজ্জামান

নিয়াজ মোর্শেদ (স্বরূপকাঠি) পিরোজপুর
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

সুন্দর ধরণীর বুকে বেঁচে থাকার জন্য চিকিৎসা সেবা অপরিহার্য। মানব শরীরের সুস্থতার জন্য চিকিৎসা সেবা পবিত্র আল কোরানেও সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণিত আছে। সুন্দর স্বাস্থ্য হলে সুন্দর মন থাকে ফুরফুরে মেজাজে। আর সেই সূত্র ধরেই নেছারাবাদ উপজেলা বিগত সময়ে রাজনৈতিক ভাবে নানান দিক দিয়ে বৈশম্যের স্বীকার হয়েছে। বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ সব রাজনৈতিক দলের চরিত্র বহুরূপী। ফলে পিরোজপুর জেলার মধ্যে নেছারাবাদ উপজেলা ভৌগোলিক দিক দিয়েও চরম অবহেলিত রয়েছে আজও। রাজনৈতিক নেতাদের কারনে কঠিন ষড়যন্ত্রের স্বীকার হচ্ছে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বিগত আওয়ামী লীগের সময়ে টি এইচ হিসেবে ডাঃ অরুণ আসার পর পরই শুরু হয় নোংরা রাজনীতির পরিবেশ। চরম বিতর্কিত এবং নিন্দিত ডাঃ অরুণ। রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে একচোটিয়া দুর্নীতি করার গুরুত্বপূর্ণ মিশনে ছিল ঠান্ডা মাথার কিলার ডাঃ অরুণ বাবু। কঠিন বৈশম্যের কারনে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্েেস চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়েছিল আওয়ামী লীগের সময়ে। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন সহ ডাঃ অরুণ বাবু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্েেসর প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি করার সত্যতা রয়েছে। সাধারণ রোগীরা ছিল দারুণ ভাবে জিম্মি। ধর্মীয় বৈসম্য দিয়েও চরম নিন্দিত ও বিতর্কিত ডাঃ অরুণ বাবু। অথচ তৎকালীন সময়ে গরীবের ডাঃ আসাদুজ্জামান আরএমও হয়ে হাসপাতালে আসার পর পরই টনক নড়ে দুর্নীতিবাজ চিকিৎসক ডাঃ অরুণ বাবুর। ঠান্ডা মাথায় খেয়াল খুশি মতন দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করার দুঃসাহস দেখায়েছেন। সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে স্বরূপকাঠি উপজেলার সাধারণ মানুষ সহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বোকা বানিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। একজন দুর্নীতিবাজ চিকিৎসক হিসেবে ডাঃ অরুণ বাবুর দুর্নীতির কারণে সমগ্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্েেস দুর্নীতির আখরায় পরিনত হয়েছিল। অথচ সময়ের সাথে সাথে আজ একটা চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে সাধারণ মানুষের বদৌলতে। হত দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবাদ সহ মানব বন্ধন করেন একজন গরীবের ডাক্তারের জন্য। আর সেই কারণে জয় হয়েছে মানবতার, জয় হয়েছে সাধারণ রোগীদের। সুস্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত গতিতে আন্দোলন করে অবশেষে মানবতার চিকিৎসক পেয়ে বেজার খুশি সাধারণ মানুষ সহ হত দরিদ্র রোগীরা। গরীবের ডাঃ হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত বরিশাল বিভাগের মধ্যে সকলের সুনজরে থাকা সাবেক আরএমও ডাঃ আসাদুজ্জামান। সুপ্রিয় পাঠকের জন্য মানবতার সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকের কথাই বলছিলাম। বিগত সময়ে স্বরূপকাঠি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও নিয়ে কমবেশি রাজনীতি হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে নবরূপে সাজছে চিকিৎসা সেবা দিয়ে স্বরূপকাঠি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।বর্তমান সময়ে মনখুলে মানুষ কথা বলতে পারেন সাধারণ রোগীরা।পরিপাটি পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে গরীবের চিকিৎসক ডাঃ আসাদুজ্জামানের বদৌলতে। অথচ বিগত সময়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ডাঃ আসাদুজ্জামান। যদিও পঞ্চাশ বেডের হাসপাতাল কাগজে কলমে রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে রয়েছে অর্ধেকেরও কম বেড। প্রতিদিন শত সংগ্রাম করে যাচ্ছে স্বল্প বেডের কারনে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। সাধারণ রোগীরা সরকারি চিকিৎসার জন্য ফ্লোরে শুয়ে শুয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। চিকিৎসক ও রোগীদের আন্তরিকতার ছাপ থাকায় বেড সমস্যার কারণেও শীতের কষ্ট ভোগ করতে হয়।অথচ রোগীরা একজন আসাদুজ্জামান ডাক্তারের বদৌলতে সবকিছু উপেক্ষা করতে সদা প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের বরিশালের বিভাগের বেশ কয়েকজন অনুসন্ধানী গণ মাধ্যম কর্মী সহ স্বরূপকাঠি উপজেলার বহু গণ মাধ্যম কর্মীরা সঠিক তথ্য উদঘাটন করার গুরুত্বপূর্ণ মিশনে ছিল। আর সেই সূত্র ধরেই মানবিক গুণাবলি দিয়ে একজন আসাদুজ্জামান ডাক্তার মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়। ডুবির খাদিজা(৫৯) সহ গয়েসকাঠীর শান্তি গাইন(৬৭), রূপালী মিস্ত্রি(১৬), হালিমা বেগম(৪৯), নিলুফা আক্তার(৮৪) এবং তাহমিনা হাফিজের সাথে কথা হয়। গণ মাধ্যম কর্মীদের জ্ঞাতার্থে বলেন, বিগত কয়েক বছর আগের চেয়ে বর্তমান সময়ে হাসপাতালে চমৎকার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের দায়িত্ব থাকা সকলেই আন্তরিক চিকিৎসা সেবা দিতে।বিগত তিন বছরের মধ্যে এত সুন্দর পরিবেশ পরিলক্ষিত হয়নি। নাম না প্রকাশের শর্তে একজন হিন্দু রেগী গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, সাবেক টিএইচও ডাঃ অরুণ বাবু একজন নরঘাতক। টাকা ছাড়া কিছু চিনতেন না।নরমাল ডেলিভারি হওয়া রোগীকে সিজার করার জন্য নির্দেশ দেয়। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক তাই অনেক কিছু বলতে সাহস করিনা।অথচ সেই দিনের স্মৃতি আজও মনে পড়ে। ঐসময়ের দুঃসহ স্মৃতি আজ-ও মনে পড়ে। মাত্র এক ঘন্টার ব্যবধানে আমাদের রোগী সুস্থ ভাবে ডেলিভারি হয়েছে। এদিকে পুরুষ ওয়ার্ডের মধ্যে বহু রোগীরা সরাসরি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ঝটপট তথ্য তুলে ধরলেন। বেশীরভাগ রোগীরা সরাসরি অভিযোগ নয় বরং মানবতার সেবায় নিয়োজিত ডাঃ আসাদুজ্জামানের কথা বললেন। গগনের আঃ রশীদ(৫৯) সহ মোঃ মিজানুর রহমান(৪০) মিডিয়ার কাছে মনখুলে বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরই বুঝতে পারছি, বর্তমান সময়ে চমৎকার পরিবেশ কাজ করছে। সেবিকা সহ চিকিৎসকরা দেখাশুনা করে যাচ্ছে। বিগত আওয়ামী লীগের সময়ে স্বরূপকাঠি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্েেস এত সুন্দর পরিবেশ ছিল না। স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়েছিল। ডাঃ অরুণ বাবুর দুর্নীতি থেকে শুরু হয়। কিন্তু চলতি সময়ে স্বরূপকাঠি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা জিম্মি নয়।সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী তথ্য সংগ্রহে সাধারণ মানুষ সহ হত দরিদ্র রোগীদের বক্তব্য সংবাদ তৈরি করতে দারুণ ভূমিকা রাখে। হাসপাতালের দায়িত্ব পালন নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে না। সকাল থেকে নিদিষ্ট সময়ে সবকিছু ঠিক ঠাক ভাবে চলছে। জরুরী বিভাগের দায়িত্ব চোখে পড়ার মত। বিগত সময়ে দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বর্তমান সময়ে পরিপাটি পরিবেশ বজায় রেখে চলছে জরুরি সেবার চিকিৎসা। অবশ্য সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে গত ০৫ আগষ্টের পর পরই টনক নড়ে সমগ্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রের সেবার কার্যক্রমে।ছাত্র জনতার বদৌলতে শুরু হয় বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরো কাজের গতি। জবাব দিহিতা নিশ্চিত হওয়ার কারণে স্বাস্থ্য খাত, ব্যাংক খাত, আইনের সুবিচার সহ বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানে।প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস স্যারের বদৌলতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার পেতাত্তা মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর বর্তমান সময়ের সরকার। আর সেই সূত্র ধরেই বর্তমান সময়ে স্বরূপকাঠি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নুতন ধারায় সমাদৃত হচ্ছে সর্বমহলে। দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের ভালবাসার স্থান পাচ্ছে গরীবের ডাঃ আসাদুজ্জামান। বিগত সময়ের সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া হত দরিদ্র পরিবারের শতশত রোগীদের প্রতিবাদ সহ কঠিন সংগ্রামের ফসল আজকের মানবতার সেবার চিকিৎসক আসাদুজ্জামান। সার্থক হয়েছে স্বরূপকাঠি উপজেলার কয়েক শতাধিক রোগীদের মানববন্ধন কর্মসূচি। দিনের পর দিন চমৎকার পরিবেশ পাওয়ার বাসনা নিয়ে দলমত নির্বিশেষে দুর্দান্ত গতিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে সাধারণ মানুষ। একজন গরীবের ডাঃ আসাদুজ্জামানকে পেয়ে সাধারণ মানুষ বেজায় খুশি। রাত নেই দিন নেই সদা প্রস্তুত মানবতার সেবায় নিয়োজিত ডাঃ আসাদুজ্জামান। অথচ গত কয়েক মাস ধরে চলে আসছিল নোংরা রাজনীতির পুতুল পুতুল খেলা।স্বরূপকাঠি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিএইচও সহ সমগ্র চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করে আসছিল। জেলা স্বাস্থ্য ও বিভাগের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার চৌকস নৈপুণ্য দিয়ে একটা চমৎকার পরিবেশ তৈরি করে দেয় নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হুটহাট করে সবকিছু সুন্দর ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিভাগের, জেলার ও উপজেলার বহু গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা হয় স্বরূপকাঠি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও, হত দরিদ্র মানুষের ডাঃ আসাদুজ্জামানের সাথে। মিডিয়ার প্রথম প্রশ্ন, আপনাকে কেন গরীবের ডাঃ বলা হয়? সদা হাস্যউজ্জাল ডাঃ আসাদুজ্জামান গণমাধ্যম কর্মীদের জ্ঞাতার্থে বলেন, আমি বাল্যকাল থেকেই মানবিক। মানুষের জন্য কাজ করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমার পরিবারের আলাদা একটা নির্দেশনাও ছিল। আসলে আমি ডাক্তার হিসেবে নয় বরং সাধারণ মানুষের সেবা করতে চাই। তাই হয়তো সাধারণ মানুষ আমাকে হত দরিদ্র মানুষের ডাক্তার হিসেবে চিনেন। মিডিয়ার দ্বিতীয় প্রশ্ন, আপনি চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য শারীরিক কসরত হিসেবে খেলাধুলাকে অন্য রকম মূল্যায়ন করেন।এবারও মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, ঔষধ সেবনের পাশাপাশি শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য শারীরিক ফিটনেস অতীব জরুরী। তাই খেলাধূলার প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে। আমি রোগীদের জন্য বরাবরই উজাড় করে দেই চিকিৎসার জন্য। বিনা পারিশ্রমিকে অনেক রোগীর ব্যাবস্থা পত্র দেই। অন্য দিকে খেলাধুলার জন্য কেহ আসলে আমি সমর্থন অনুযায়ী সার্বিক সহযোগিতা করে থাকি। আপনারা সকলেই দোয়া করবেন আমি যেন সর্বদা মানুষের ভালবাসার প্রতিদান দিতে পারি। স্বরূপকাঠি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটা চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com