গাজীপুরের কালীগঞ্জ অংশে শীতলক্ষ্যা নদীর সীমানা নির্ধারণে নদী তীরে চলছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র সীমানা পিলার তৈরির কাজ। সেই চলমান কাজ ও শীতলক্ষ্যা নদী পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড ভাদার্ত্তী গ্রামের হা-মীম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা তীরে চলমান কাজ ও নদী পরিদর্শন করেন ইউএনও। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসনিম ঊর্মি, বিআইডব্লিউটিএ ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নূর হোসেন, কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারি রফিক সরকার উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে ইউএনও বিআইডব্লিউটিএ’র চলামান কাজের খোঁজখবর নেন এবং কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। এছাড়াও নদী নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে শীতলক্ষ্যা নদীর দখল ও দূষণের ব্যাপারে কথা বলেন তিনি। বিআইডব্লিউটিএ ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নূর হোসেন বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীর দুই তীরে চলমান সীমানা পিলার তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরপর নদীর দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ওয়াক ওয়ে নির্মাণ ও সবুজ বনায়নের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি। ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, দেশের অন্যান্য নদীগুলোর চেয়ে শীতলক্ষ্যা নদী এখনো অনেক সুন্দর রয়েছে। তাই সুন্দর এই শীতলক্ষ্যা নদী দখল রোধে বিআইডব্লিউটিএ’কে সাথে নিয়ে কাজ করবে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়াও নদীটির দূষণ রোধে নদী নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশাপাশি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরকেও এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।