বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় সড়কের কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা, জনদুর্ভোগ চরমে ধনবাড়ীতে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি মৌলভীবাজার জেলার ৫ উপজেলা ও ৫ পৌর শাখা বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন নড়াইলে তারুণ্যের উৎসবে বালক-বালিকাদের সাইক্লিং প্রতিযোগিতা লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের উদ্যােগে পত্রিকার হকার ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালকিনিতে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব ১৭ এর ফাইনাল ম্যাচ নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াজেদকে ফুলেল শুভেচছা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান শ্রীমঙ্গলে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে লাখ টাকা জরিমানা শিক্ষকের দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক এমপি’র তারাকান্দায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা

শেরপুর ৪ মাস পর সীমিত পরিসরে জেলা কারাগারের কার্যক্রম চালু

জাহিদুল খান সৌরভ শেরপুর
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

শেরপুরে দীর্ঘ ৪ মাস পর সীমিত পরিসরে জেলা কারাগারের কার্যক্রম চালু হয়েছে। চালু হওয়ার পর ১৩ জন বন্দীকে কারাগারে রাখা হয়। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নবাগত জেল সুপার মো: শফিউল আলম। জানা যায়,গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শেরপুর জেলা কারাগারে দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় কারাগারটি ব্যবহারে অনুপযোগী ও অচল হয়ে পড়ে। পালিয়ে যায় কারাগারের মোট ৫১৮ জন বন্দী। পরে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে কারাগারের সংস্কার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজের ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। তবে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ আরও কিছু কাজ এখনো বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্য বিচারকেরা সংস্কারকৃত কারাগার পরিদর্শন করেন। এবিষয়ে জেল সুপার মো: শফিউল আলম বলেন, জামালপুর থেকে বন্দীদের আনা-নেওয়ার সমস্যার কারণে সম্পূর্ণ সংস্কার কাজ শেষ না হওয়া সত্ত্বেও কারাগারটি সীমিতভাবে চালু করা হয়েছে। নতুন ও পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের শেরপুর কারাগারে আনা হবে এবং ধীরে ধীরে জামালপুরে থাকা বন্দীদেরও শেরপুরে স্থানান্তর করা হবে।উল্লেখ্যে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের পর শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১০-১২ হাজার লোক লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। হামলাকারীরা কারাগারের ৯টি অস্ত্র, চায়নিজ রাইফেলের ৮৬৪টি গুলি, শটগানের ৩৩৬টি গুলি, টাকা-পয়সা, খাদ্যসামগ্রী ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে এবং কারাগারের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র ও বিভিন্ন স্থাপনা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ হামলার ফলে দীর্ঘ সময় কারাগারটি অচল হয়ে পড়েছিল।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com