ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের ৫নং কলাতলি এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক্সকেভেটর পোড়ানো সহ সকল ধরনের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের গুদাম বাজার এলাকার মুজিবিয়া আলিম মাদরাসার সামনে মানববন্ধনে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর দাবি, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর নির্দিষ্ট একটা গোষ্ঠী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে। ছোট খাটো প্রতিষ্ঠান থেকে সড়কে কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, সকল প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা দাবি করে থাকে। তাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এরমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা না দেওয়ায় একটি স্কেভেটরে আগুন দেয়। এরই প্রতিবাদে ইউনিয়নের ফাজিলপুর, বটতলতি, আরবিহাট সড়কের গুদাম বাজার এলাকার মুজিবিয়া মাদরাসার সামনে মানববন্ধন আয়োজন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আল আমিন মার্কেট মহিলা দাখিল মাদরাসার সহ সুপার মাওলানা ফজলুল হক, নূরানী মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মনির আহমদ, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব রাফি, ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান, আব্দুল মোতালেব, আব্দুল হাই ও আতিকুল ইসলাম।এলাকাবাসী বলেন, আমাদের এলাকার শহীদ শাহী একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়েছে। কোন চাঁদাবাজের চাঁদার জন্য জীবন দেয়নি। ৫ আগস্ট এর পর একদল চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে। তাদের থেকে কেউই রেহাই পাচ্ছে না। এখানে যে সড়কটি হচ্ছে তা আমাদের চলাচলের জন্য। কিন্তু তারা এখানেও এসে ঠিকাদারদের থেকে চাঁদা না পেয়ে এক্সকেভেটরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা বলতে চাই, এ নতুন বাংলাদেশে আর কোন চাঁদাবাজের ঠাই হবে না। যারা চাঁদাবাজি করতেছে তারা আওয়ামী লীগের দোসর। তাদের ঠিকানা ভারতে হবে, এ বাংলাদেশে না। আমার ভাই শাহী এ জন্য জীবন দেয়নি। তারা আরো বলেন, আমরা শুনতে পেয়েছি তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তা আমরা জানি না। প্রশাসন আমাদের থেকে এ তথ্য লুকাচ্ছে কেন? যাদের আটক করা হয়েছে তাদের তথ্য প্রকাশ করা হোক। আমরা চাই দ্রুত যারা এই এক্সকেভেটরে আগুন দিয়েছে এবং যারা চাঁদাবাজিতে জড়িত তাদের দ্রুত বিচার করা হোক। আমরা প্রশাসনের কাছে এ আকুল আবেদন জানাই।