নড়াইলের কালিয়া ফেরী পারাপারে ইউএনও’র ভিআইপি প্রটোকলে সাধারাণ মানুষের ভোগান্তি শিরোনামে ২২ ডিসেম্বর দুটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ভিআইপি প্রটোকলে ইউএনও ফোন দিয়ে দেড় ঘন্টা ফেরী আটকে রেখে তারপর তিনি ফেরী পার হন। যার কারনে হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তি শিকার নিউজটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে সরেজমিনে সরাসরি ফেরীতে গেলে বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে অভিমত প্রকাশ করেন যাত্রী সাধারণ ও ফেরীর ড্রাইভার হানিফ মিয়া। এসময় হানিফ মিয়া বলেন যে রিপোর্টার ইউএনওর নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছেন ওই রিপোর্টারের সাথে তার কোন কথাও হয়নি। ফেরী চালক হানিফ মিয়া ও অন্যান্য ষ্ট্যাফেরা বলেন, সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শুরু হয় ফেরী চলাচল। কালিয়ার পারে আসে জোড় টাইমে কালিয়া পাড় থেকে বেজোড় টাইমে ছেড়ে যায় কালিয়া ঐপারে। এ নিয়মেই ফেরী চলাচল করে থাকে। অনেক সময় কারোর নিতান্ত প্রয়োজনে দ্রুত পার করে দেওয়া হয়। সে হিসাবে বেলা ২ টায় ঐপার থেকে ৩ টায় কালিয়ার পারে আসার কথা ফেরীটি সেখানে ইউএনও কে নিয়ে ফেরীটি এসেছে ৩টা ১৭ মিনিটে। তাতে বিলম্ব হয়েছে ১৭ মিনিট। এতটুকু বিলম্বে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি বোধগোম্য নয়। কালিয়া পৌর এলকার বাসিন্দা উজ্জ্বল শেখসহ একাধিক যাত্রীরা জানান, কালিয়া ফেরীতে সাধারণ মানুষের কোন দুর্ভোগ আমাদের চোখে পড়েনি। এ ছাড়া এ ফেরীর মাধ্যমে জেলা উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষের কল্যানেই বিভিন্ন স্পটে যাতায়াত করেন। সে ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে ১০/২০ মিনিট দেরী হতেই পারে। এতে ভোগান্তির তেমন কিছু আমরা মনে করিনা। কারণ তারা আমাদের প্রয়োজনেই নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ইউএনও’র নামে যে নিউজটি করা হয়েছে এটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও ভিত্তিহীন নিউজ বলে তারা মন্তব্য করেন।