বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
পাঁচবিবি পৌরসভার প্রধান ড্রেনটি দীর্ঘ ২৫ বছরেও সংস্কার হয়নি: দুর্ভোগে এলাকাবাসী বর্ণাঢ্য আয়োজনে উলিপুর প্রেসক্লাবের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত জগন্নাথপুর থানার ওসি রুহুল আমীন জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত চকরিয়ায় মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধে সড়ক পুলিশের মাইকিং কালীগঞ্জ পৌরসভায় টিসিবি-র পণ্য বিতরণে অব্যবস্থাপনা এবং ব্যাপক অনিয়ম রূপগঞ্জে টায়ারস কারখানায় আগুনে ১৮২জন নিখোঁজ, স্বজনদের থানায় অবস্থান চরফ্যাসনের চরাঞ্চলে মহিষ পালনে সংকট ও সম্ভাবনা চকরিয়ার বদরখালীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আটক ৮ পটুয়াখালীতে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা পিরোজপুরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ

রংপুর নগরীর মোতয়াল্লীর বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ

নুর ইসলাম চান রংপুর
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫

রংপুর নগরীর ছোটকল্যাণী তালতলা মসজিদের মোতওয়াল্লী নুর হোসেনের বিরুদ্ধে মসজিদের নামে ওয়াক্বফ করা জমি দখল ও মসজিদের দানবাক্স ভেঙে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মোতয়াল্লীর অপসারণ ও শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। রবিবার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে নগরী ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলা বাজারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় তারা বলেন, মসজিদের নামে ওয়াকফ করা জমি দীর্ঘদিন থেকে ভোগ দখল করে আসছেন মোতয়াল্লী। কেউ প্রতিবাদ করলে তিনি ও তার ছেলে মিলে তাকে মারধর করেন। এছাড়া তার বাড়ি থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার হওয়ার পরেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করার দাবি জানান তারা। স্থানীয়রা জানান, তালতলা মসজিদের নামে ১৯৩৬ সালে ১০৮ শতক জমি উইল করে দেন বর্তমান মোতয়াল্লী নূর হোসেনের দাদা আব্দুল হাকিম। এ জমিতে কবরস্থান,পুকুর ও বাজারের ১৪ টি দোকান আছে। কিন্ত নূর হোসেন দান করা মসজিদের সম্পত্তি নিজের পৈতৃক বলে দাবি করে দখল করে রেখেছেন। মসজিদের জমিতে থাকা ১৪ টি দোকান থেকে উত্তোলন করা ভাড়ার টাকা ও মসজিদে দানের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। মুসল্লিরা মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে কয়েকজনকে মারধর করেন তিনি। পরে তারা আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এছাড়া মসজিদের জমিতে কবরস্থানকে নিজের বলে দাবি করেন। গত শুক্রবার দুই পক্ষ জমির দলিল নিয়ে বসেন। এ সময় দুইজন আইনজীবী কাগজ যাচাই বাছাই করে এ জমিগুলোকে মসজিদের বলে ঘোষণা দিলে সেখানেই নূর হোসেন ও তার ছেলে লুৎফর রহমান কয়েকজন মুসল্লিকে মারধর করেন। সেদিন রাতেই তার বাড়ি থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার করেন মহানগর মাহিগঞ্জ থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন, দুই পক্ষের দলিল যাচাই বাছাই করে দুজন সিনিয়র আইনজীবী এ জমি মসজিদের নামে ওয়াকফ করা হয়েছে বলে মত দেন।কিন্ত। তারা এ রায় মেনে না নিয়ে গন্ডগোল শুরু করেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে মসজিদের জমি দখল করে রেখেছেন এবং মসজিদের দানের টাকা আত্মসাৎ করছেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, নূর হোসেনের দাদা মসজিদের নামে জমি দান করলেও তিনি তা দখলে রেখেছেন। এছাড়া মসজিদের দান বাক্স ভেঙ্গে টাকা নিয়ে গেছেন তিনি। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com