কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালীতে গত ৫ জানুয়ারি রাতে বদরখালীতে অটো রিকশা থেকে নামিয়ে ব্রিজের পাশের প্যারাবনে নিয়ে কিশোরীকে গন ধর্ষণের ঘটনায় ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও এখনো মামলা হয়নি। তবে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে পৃথক সময়ে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভুঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতাররা হলেন-চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কলেজ পাড়ার মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে মোহাম্মদ কাজল(২৩) এবং একই ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির(৩৮) ও ঢেমুশিয়াপাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান(২৭)। ওসি মনজুর কাদের বলেন, ঘটনার পর থেকে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সোমবার মধ্যরাতে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কয়েকজন আসামি বদরখালীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করার খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে এ তিনজনকে গ্রেফতার করে। ওসি বলেন, ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী ও পরিবারের কেউ এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। গ্রেফতারদের সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর শনাক্তের ভিত্তিতে তাদের আসামি করা হবে। ওসি আরো জানান, ভুক্তভোগী কিশোরী এখন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি এখনো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ নন। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এমএম রকিব উর রাজা বলেন, কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো এজাহার জমা দেওয়া হয়নি। তবে পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। বিকেলের মধ্যে মামলা করতে পারে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনার পর থেকেই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রসঙ্গগত: অটোরিকশা যাত্রী এক কিশোরীকে গত ৫ জানুয়ারি রাতে বদরখালী ব্রিজের পাশে প্যারাবনে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে একদল পাষ-। এরপর থেকে এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বদরখালী, মহেশখালী ও চকরিয়া সহ কক্সবাজার জুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-জনতা। সোমবার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে অপরাধীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনার আলটিমেটামও দিয়েছিলেন ছাত্র জনতা।