বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
শূরা বৈঠক ডেকে আজাদী বাজার মাদ্রাসায় ডুকতেই পারেননি হেফাজত আমীর ধনবাড়ীতে ছেলে মেয়েদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখাতে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাকে সরকারী করণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান বেনাপোল বিজিবি ও বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সমন্বয় সভা কাপাসিয়ায় তারুণ্যের উৎসব টিউলিপের পদ্যতাগ : এবার তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কতিপয় ব্যক্তির অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের কারণে ধুঁকছে বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা মেয়াদ বাড়লো ৬ কমিশনের, ফেব্রুয়ারির শুরুতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা কিশোরগঞ্জে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা

মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য অভি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫

২২ বছর আগে বিজ্ঞাপনের মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যার ঘটনায় করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. শাহীনুর আক্তার আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আমিনুর রহমান। রায় ঘোষণার সময় তিন্নির পরিবারের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অভির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন বলেন, রায়ে তাঁর মক্কেল ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
তবে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সৈয়দ মো. আবু জাফর রিজবী বলেন, খালাসের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। রায় পর্যালোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা নদীর ওপরে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-১-এর নিচে তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভির প্ররোচনায় মডেল তিন্নি তাঁর স্বামীকে তালাক দেন। কিন্তু অভি এরপর তিন্নিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। তিন্নি এসব তথ্য মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন। ক্ষিপ্ত হয়ে অভি ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর রাতের যেকোনো সময় তিন্নিকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য গাড়িতে করে কেরানীগঞ্জ থানার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-১-এর কাছে ফেলে রাখেন। অভি কানাডায় পলাতক। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ মামলার ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
অভির পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন বলেছিলেন, ২০০৬ সালের ৩ নভেম্বর অভির পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তাই তিনি পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন কানাডার অটোয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে। কিন্তু বহুবার লিখিত তাগিদ দেওয়ার পরও পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়নি। তিনি বিচারের সম্মুখীন হতে চান। কিন্তু তাঁকে পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। অভিকে পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য ২০১০ সালে তাঁর পক্ষে রিট করা হয়েছিল।
মামলার নথিতে দেখা যায়, পলাতক অভি কানাডা থেকে তাঁর আইনজীবী বরাবর একটি চিঠি লেখেন। এর কপি দেওয়া হয় ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলিকেও। এতে অভি দাবি করেন, ১৯৯৬ সালে বরিশাল-২ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আইনের শাসনে বিশ্বাসী। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তিন্নি হত্যা মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে তাঁর নাম ছিল না। বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি জানতে পারেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে তিনি দেশ ছেড়ে কানাডায় যান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com