ভোলা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডস্থ এলাকায় বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসটার্মিনালটিতে বহু বছর যাবত বাস ও সিএনজি সহঅবস্থান করলেও তাদের দুই গ্রুফের মধ্যে পরস্পর বিরোধী মনোভাবটা ছিলো অস্বাভাবাবিক। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) ভোলা পৌরসভা কর্তৃক বাসস্ট্যান্ড এলাকার অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের সূত্র ধরে ঘটে যায় একটি বিশাল অনাকাঙ্খিত ঘটনা এবং বাসটার্মিনাল হয়ে যায় এক ভয়াবহ রণক্ষেত্র। বাস শ্রমিক ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যকার সেই যুদ্ধ সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে চলে কয়েক ঘন্টা। পরে পুলিশ, র্যাব, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দুটি বাস ও ৮টি সিএনজি এবং আহত হয় প্রায় ৫০ জন। বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা হওয়ার কথা থাকলেও তার পূর্বেই দ্বিতীয় বারের মতো ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে আগুন জ্বলে বাসটার্মিনালে এবং এবারও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপে মারামারির অবসান ঘটিয়ে সন্ধ্যায় উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসে প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান এর সভাপতিত্বে প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী চলা আলোচনা শেষে উভয় পক্ষের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিএনজি স্টেশন হিসেবে হ্যালিপ্যাড মাঠ ব্যবহার করবে ও পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতার ভিত্তিতে যানবাহন পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এবং উভয় পক্ষ চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভার আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পুলিশ সুপার মোঃ শরিফুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও ভোলা পৌরসভার প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান, নৌবাহিনীর জেলা কমান্ডার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, সদস্য সচিব রাইসুল আলম, বিজিপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, জামায়েত ইসলামীর পৌর আমীর মোঃ জামাল উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারী তরিকুল ইসলাম তারেক, বাসমালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সেক্রেটারী বাচ্চু মোল্লা, সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন, সেক্রেটারী মাকসুদুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোবাশ্বের আলম, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল, কোস্টগার্ড অফিসার, জেলা জামায়েত আমীর মাস্টার জাতির হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি এবং জেলা প্রশাসন ও বাস-সিএনজি সংগঠনের নেত্রিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।