বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,আজকে আমাদের গণতন্ত্রের চূড়ান্ত কাজ করার জন্য অনেক কাজ বাকী। আমরা হাসিনাকে পরাজিত করতে পেরেছি, সে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে কিন্তু আমাদের সব কিছু সে শেষ করে দিয়ে গেছে। আপনারা জানেন একেকজন মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগরে নেতাদের ব্যাংকে লেনদেন পাওয়া যাচ্ছে হাজার কোটি টাকার। তারা গোটা দেশকে, গোটা জাতীকে আওয়ামী লুণ্ঠনের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিল। তাদের হাত দিয়ে বার বার গণহত্যা করেছে। শেখ হাসিনার বাবা বাকশাল করেছিল আর এবার সে দ্বিতীয় বাকশাল তৈরি করেছিল। তার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আমাদের ছাত্রদল, যুবদলের নেতাদের ধরে ধরে নিয়ে এসে হত্যা করেছিল। যারা গণতন্ত্রের জন্য কর্মসুচি পালন করেছে তাদের হত্যা করেছে। তাদের বিচার হবেই ইনশাল্লাহ। তিনি রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে নারায়ণগঞ্জ জেলার নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন,আমরা একটি ঐতিহাসিক অধ্যায় পার হয়ে নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। আগে আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না, আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারতাম না, অনুশীলন করতে পারতাম না, আমরা সভা-সমাবেশ করতে পারতাম না। সব সময় আমাদের নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও নিপীড়ন চারানো হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ পর্যায় অতিক্রম করে এক ভয়ঙ্কর দানব শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে নতুন অধ্যায়ের সুচনা করেছি। সে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। সুতরাং আমার আশা করি এ নতুন পরিবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। নারায়ণগঞ্জে যে শামীম ওসমানের মাফিয়া রাজত্ব ছিলো তা বেঙ্গে একটি মানবিক নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলবে। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন, নজরুল ইসলাম আজাদসহ জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।