সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
‘জংলি’ রিমেক করতে চায় দক্ষিণ ভারত আল্লাহ যেসব বিবাহ থেকে বরকত তুলে নেন সুন্দরবনে মধু আহরণ করতে গেলেন ৬ শতাধিক মৌয়ালী, মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে আজ জাজিরায় আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৮ কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার: গায়েবী মামলার অভিযোগে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন কটিয়াদীতে আশিক খাঁ’র হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন লামায় শিক্ষার্থীদের মাঝে এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ শ্রীমঙ্গলে ১৩ বছরে ৬৫২ বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে অবমুক্ত করে বন্যপ্রাণী ফাউন্ডেশন জগন্নাথপুরে মজলিসের ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে হযরত গাউসুল আজম সৈয়দ গোলামুর রহমান ভা-ারীর ৮৯ তম ওরশ শরীফ

নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই!

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

শীতের রুক্ষতা শেষে প্রকৃতি সাজছে নতুন রূপে। গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে নতুন পাতা, রঙিন ফুলে সাজছে প্রকৃতি। তবে এমন সময় বিপত্তিবাধে মানবজীবনে। ঠান্ডার প্রকোপ শেষে আবহাওয়া যখন গরম হয়ে ওঠে তখন সেটা সহজভাবে মেনে নিতে পারে না মানুষের শরীর। আক্রান্ত হয় নানা রোগে। বিশেষ করে ঠান্ডা-জ্বর খুব করে ভোগায় সব বয়সী মানুষকে।
নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট, মনে হয় যেন এখনি দম আটকে যাচ্ছে। এই সময় সামান্য একটু স্বস্তি পাওয়ার আশায় সবাই ছুটে যায় হাসপাতালে। শরণাপন্ন হয় অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে। তবে আগের দিনে অর্থাৎ আমাদের দাদি-নানিরা এই কষ্টের সমাধান করতেন ঘরে বসেই। তখন ছিল না হাসপাতালে যাওয়ার তাড়া।
ঋতু পরিবর্তনের সময় আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে পরিবেশে আসে বেশকিছু পরিবর্তন। ফলে বেড়ে যায় নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। বসন্তে বাতাসে ভেসে বেড়ায় ফুলের পরাগরেণু, যা অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে। তা ছাড়া এ সময় ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। এসব কারণে হাঁপানি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিসসহ অন্যান্য অ্যালার্জিজনিত রোগের প্রকোপও বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের শ্বাসতন্ত্রের রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। কমন কোল্ড, ফ্লু এর মধ্যে অন্যতম। এর ফলে সর্দি, নাক বন্ধ, গলাব্যথা, শুকনা কাশি বা জ্বর হতে পারে।
এই সময় হাসপাতালে বেড়ে যায় রোগীর চাপ। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন এই সব রোগের চিকিৎসার জন্য তেমন হাসপাতালে দৌড়াতেন না কেউ। ঘরে বসেই চিকিৎসা করতেন তারা। মূলত, ঘরোয়া টোটকা দিয়েই ঠান্ডাকে বিদায় জানাতেন আমাদের দাদি-নানিরা। চলুন জেনে নেই দাদি-নানিদের ঘরোয়া সেই টোটকা সম্পর্কে-
সর্দি, নাক বন্ধ, গলাব্যথা, শুকনা কাশি বা জ্বর হলে আদা-লেবুর চা ও মধু-তুলসী বেশ কার্যকরী। এছাড়া কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে আরাম পাওয়া যাবে। তবে ঠান্ডা বা জ্বর না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।সর্দি-কাশি প্রতিরোধে আদা খুব ভালো কাজ করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আদা ফোটানো পানি খেলে দারুণ উপকার পাবেন। এছাড়া ঠা-ার প্রতিরোধে তুলসী খুব ভালো কাজ করে। সর্দি-কাশি হলে শিশুকেও তুলসী পাতার রস খাওয়ানো যায়। তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে আগে অনেকেই টকদই খেতেন। এতে এমন কিছু প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়া আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
জ্বর হলে রোগীর মাথায় পানি ঢালা এবং কপালে জলপট্টি দেওয়া উপকারী। এসময় প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে হবে। পানির পাশাপাশি ডাবের পানি, স্যালাইন, ফলের সরবত ইত্যাদি পান করতে হবে। জ্বর সারাতে ভিটামিন-সি আছে এমন ফল যেমন- আনারস, জাম্বুরা, কমলা, আমড়া, লেবু ইত্যাদি অত্যন্ত উপকারী।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com