শীত এলেও বাজারে এখনো বাড়তি রয়েছে সবজির দাম। তবে কিছু কিছু সবজির দাম কমেছে। সিম এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচামরিচের কেজিও নেমে এসেছে ১০০ টাকার কাছাকাছিতে। বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দামও। তবে নতুন ধান উঠলেও চালের দাম রয়েছে আগের মতোই। কমেনি আলুর দামও।
গতকাল শুক্রবার (২০ নভেম্বর ) কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের এই সময়ে এসে সবজির দাম এত বেশি থাকাটা অস্বাভাবিক। আর বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা। এছাড়া কারওয়ান বাজারে চায়না আদা ২৩০ টাকা, চায়না রসুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ও দেশি রসুন ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারে সবজির মধ্যে বেগুন ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা ও গাজর ৭০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারের বিক্রেতা আনিস সারাবাংলাকে বলেন, কিছু সবজির দাম কমেছে। নতুন করে কোনো সবজির দাম বাড়েনি। এদিকে, মহাখালীর বউবাজারে সবজির মধ্যে পেঁপে ৩৫ টাকা, ঢেড়শ ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, সিম ৬০, বেগুন ৬০ টাকা, করেলা ৮০ টাকা, টমেটো ১০০ কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এই বাজারে ফুলকপি ও পাতা কপি ৪০ টাকা এবং লাউ ৬০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।
বউ বাজারে শশা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৪০ টাকা হালিতে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা ও আদা ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এই বাজারে সয়াবিন তেল ১১৭ টাকা লিটার ও ডিম ৪০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে আলু ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে আলুর দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। বউ বাজারেও আলু ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে এই বাজারে নতুন আলু দেখা গেল। সেটি অবশ্য ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বউ বাজারের দোকানি শাহাদাত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, বাজারে আলুর দাম কমেনি, আগের মতোই রয়েছে। বাজারে চালের দামও আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা, আটাশ ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক গাফফার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, চালের দাম নতুন করে আর কমেনি। বাজার কিছুটা বাড়তি রয়েছে। কারওয়ান বাজারের হাজী ইসমাইল অ্যান্ড সন্সের মালিক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, নতুন ধান উঠলেও চালের দাম কমেনি। ধানের দাম বাজারে বাড়তি রয়েছে। তাই চালের দামও বেশি। এর বাইরে কারওয়ান বাজারে গরু ৬০০ ও খাশি ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১৩০টাকা, পাকিস্তানি কক ২২০ টাকা ও সাদা কক ২০০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাজারে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।