গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নানা কারণে হতে পারে। ধরুন আপনি খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে গেলেন, কিংমা মদ্যপান-ধূমপানের অভ্যাস থাকলে, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদিও হতে পারে কারণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনে অল্পকিছু পরিবর্তন এবং খাবারের তালিকায় কিছু যোগ-বিয়োগ করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিছু খাবার আছে যা আপনার এই গ্যাসের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। গ্যাসের সমস্যা থাকলে বাদ দিতে হবে সেগুলো। চলুন জেনে নেয়া যাক-
মূলা: শীতের সময়ে এই সবজি বেশ সহজলভ্য। শীতে খাবারের তালিকায় মুলা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তবে মুলা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। কারণ এটি গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। পেট ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়াসহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মুলার তরকারি খাওয়ার পর জিরা ভেজানো পানি বা পুদিনা খেতে পারেন।
ছোলা: ছোলার উপকারিতা সম্পর্কে কম-বেশি আমরা সবাই জানি। কিন্তু এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যারা হজমের সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিকে ভুগছেন, তাদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয় এই ছোলা। যারা কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ছোলা এড়িয়ে চলাই ভালো।
মুখি কচু: মুখি কচুর তরকারি খেতে পছন্দ করেন অনেকে। যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি উপকারি না-ও হতে পারে। এটি পেটের সমস্যার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বাড়িয়ে দেয়।
এঁচোড়: কাঁচা কাঠালকে সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি খেতে বেশ সুস্বাদু এবং অনেকরকম পুষ্টির উৎস। বাঙালির পাতে কাঁচা কাঠাল বা এঁচোড়ের তরকারি থাকলে আর কিছু লাগে না! তবে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই সবজি গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের জন্য একেবারেই ভালো নয়।
রাজমা:উত্তর ভারতের পরিচিত খাবার হলেও এটি এখন আমাদের দেশেও বেশ পরিচিত। রুটি, পরোটা কিংবা গরম ভাতের সঙ্গে জমে বেশ। কিন্তু এক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা আছে। বিশেষ করে যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে বড় ছোলার মতো রাজমাও বিপজ্জনক।