জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মাঝে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। পৈত্রিক বি আর এস সূত্রে প্রাপ্ত সম্প্রত্তির মালিক আরফিন চৌধুরী গত শনিবার হিরা মিয়ার নামে মোহনগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন ০৩.৫০ একর বিআর এস কৃত সস্পত্তির ধান জোর করে কেটে নেওয়ার পায়তারা করছে। অভিযোগের গেল মোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে আরফিন চেšধুরীর জমির ধান কেটে নিয়ে যায় হিরা মিয়ার লোকজন। অভিযোগে ও সরজমিনে গিয়ে জানা যায় বরান্তর গ্রাামের মোঃ আরফিন চৌধুরী তার জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ ফসলাদি ফলাইয়া ও ভোগদখল করিয়া আসিতেছে। এর মধ্যে গেল মঙ্গলবার সকালে জমির ধান কেটে নিয়ে যায় ১.মোঃ হিরা মিয়া (৫০)পিতা মৃত মোতালেব মিয়া ২.বাবু মিয়া (২০) পিতা হিরা মিয়া গ্রাম শেওড়াতলী ৩. মোঃ আব্দুল আওয়াল (৩০) ৪. মোঃ রুবেল মিয়া (৪৮) পিতা ফজর মিয়া, গ্রাম বরান্তর নয়াপাড়া, সংঘবদ্ধ ভাবে এলাকার একটি দল মিলে রোপন কৃত তিন একর ভূমির বোরো ধান জোর করে কেটে নিয়ে যায়। এই নিয়ে এলাকায় গ্রাম সালিশে কোন সমাধান না হওয়ায়। ন্যায় বিচারের আশায় মানুষের ধারে ধারে ঘুরছে। এলাকাবাসী জানান হীরা মিয়া ভূমি দস্যু ও ঝগড়াটে প্রকৃতির লোক। জোর করে মানুষের জমি দখল করা তার কাজ। গত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তার নামে ঝাল টাকা তৈয়ার, হত্যাসহ একাধিক মামলা বিদ্যমান রহিয়াছে। দীর্ঘদিন যাবৎ আরফিন চেীধুরীর পৈত্রিক বি আর এস সূত্রে প্রাপ্ত সম্প্রত্তির ০৩.৫০ একর জমি জোর মূল্যে বেদখল করিবার পায়তারা করিয়া আসিতেছে। এর মধ্যে তার ক্ষেতের ধান কাটিয়া নিয়ে যায়। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে নিরীহ আরেফিনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাটিয়ে তার পরিবারকে হয়রানি করেছে। বিআএস কৃত জমি জোর করে দখল করিয়া গত সাত বছর যাবৎ ভোগদখল করিয়াছে। হিরা মিয়া জেল হতে জামিনে মুক্ত হইয়া পুনরায় এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে দল বল নিয়ে আরফিনের লোকজনদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি সহ নানা রকমের হুমকি দিয়া আসিতেছে। অভিযোগকারী জানান হীরা একজন ভূমি দস্যু, তার দ্বারায় যে কোন সময় রক্তাক্ত সংঘর্ষের সম্ভাবনা রহিয়াছে বলে জানান । জমির বিষয়ে হীরা মিয়া বলেন তাহার কাছে জমির বৈধ কাগজ পত্র রহিয়ছে। আরফিন আমার রোপন কৃত ধান কেটে নিয়ে গেছে। এই নিয়ে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন আরফিন চৌধুরী ধান ক্ষেত রক্ষার অভিযোগ করে নিজেই আবার ধান কেটে নিয়ে গেছে।