যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে তার মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য ছয় সদস্যের নাম ঘোষণা করেছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক পদস্থ কর্মকর্তাও আছেন। ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরকারী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির দায়িত্ব দিয়েছেন জো বাইডেন। নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় বাইডেন জানিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতা হাতে পাওয়ার প্রথম দিনই আমেরিকাকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরিয়ে নেবেন। বারাক ওবামা ক্ষতমায় থাকাকালীন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন এবং জ্যাক সুলিভান পেয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব। ব্লিংকেন ও সুলিভান দু’জনই ২০১৫ সালে জন কেরির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ নভেম্বর) তার মন্ত্রিসভার ছয় সদস্যের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে বলেন, ‘আমি এমন একটি দল নিয়ে কাজ করতে চাই ,যারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমেরিকার ভাবমর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে আমাকে সাহায্য করবেন, যাতে আমি বিশ্বের সামনে থাকা বৃহৎ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারি।’ জো বাইডেনের মন্ত্রিসভার অপর তিন সদস্য হলেন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী আলেজান্দার মায়োরকাস, জাতিসংঘে আমেরিকার স্থায়ী প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক অ্যাভরিল হাইনেস।
নাম ঘোষণা প্রসঙ্গে জো বাইডেন-কমলা হ্যারিস প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ‘দেশ পরিচালনার জন্য অভিজ্ঞ এবং পরীক্ষিত ব্যক্তিদেরই বাছাই করা হয়েছে। তারা প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন থেকে দায়িত্বের মাঠে সরব থাকবেন।’ এতে আরো বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে ভিতরে এবং বাইরের অঙ্গনে নিরাপদ রাখতে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাঙ্গা করতে, উজ্জ্বীবিত নেতৃত্বের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা দ্রুতই তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ভাইরাস সংক্রমণ, সন্ত্রাস, পরমাণু অস্ত্র, সাইবার হামলা এবং জলবায়ুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো মোকাবিলায় কাজ করবেন।’ জো বাইডেন আগামী ২০শে জানুয়ারি শপথ নেবেন।