পাখির রাজ্যে চলছে অস্তিত্বের লড়াই। এ পরিস্থিতিতে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চিত্রা পাড়ের মিনি সুন্দরবনে চোরা শিকারীর বন্দুকের গুলিতে একটি সারশের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পাখিপ্রেমীদের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এসব অসাধু শিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চিত্রাপাড়ের মিনি সুন্দরবনে পাখিদের অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। সারা বছরই এখানে নানা প্রজাতির পাখিদের কলকাকলিতে ভরে ওঠে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এখানে পরিযায়ী পাখি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পাখিদের আগমণ ঘটে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু চোরা শিকারীরা ফাঁদ, জাল ও বন্দুক দিয়ে পাখি শিকার করছে। এ শিকারে বলি হিসাবে একটি সারশ পাখিকে গুলি করে শিকারীরা। গতকাল সকালে মিনি সুন্দরবনের ভেতর থেকে আহত ওই সারশ পাখিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসি। উদ্ধাররের কিছুক্ষণ পর সেটি মারা যায়। এসব অসাধু শিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পাখিপ্রেমীরা। স্থানীয় পাখিপ্রেমী ও মিনি সুন্দরবন রক্ষায় এগিয়ে আসা মো. ইজাবুল মোড়ল হতাশা ব্যক্ত করে জানান, এ ধরণের কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। এঘটনা খুবই দুঃখজনক। প্রাণি ও পাখি বিশেষজ্ঞ শরীফ খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এজাতীয় পাখি এখন আমাদের দেশে বিলুপ্ত প্রায়। এদের রক্ষা করা খুবই জরুরী। জেলা বন বিভাগের ষাটগম্বুজ রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চিন্ময় মধু জানান, বিষয়টি খুবই অন্যায়। এভাবে পাখি শিকারের সাথে যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক জানান, পাখি শিকারের সাথে যারা জড়িত আছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।