বিদেশীদের কাছে নয়, দেশের জনগনের কাছে নালিশ করতে বিএনপি’র প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি কথায় কথায় বিভিন্ন দূতাবাসে নালিশ করে আর রাতের আঁধারে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে। তাদের মুখে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের কথা মানায় না। তারা কীভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করবে?’ ওবায়দুল কাদের গতকাল বুধবার সকালে সংসদ ভবনস্থ তাঁর সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ‘আওয়ামী লীগে গণতন্ত্রের চর্চা নেই’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রহীনতা এবং অগণতান্ত্রিক চর্চা যাদের দলগত বৈশিষ্ট্য তাদের মুখে একথা ভূতের মুখে রাম নাম ধ্বনির মতো। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দলে এবং সরকারে তথাকথিত বিএনপি মার্কা গণতন্ত্র চর্চাতো জাতি দেখেছে।
তিনি বলেন, যাদেরকে ১৯৯৬ সালে জনগণ আন্দোলন করে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছে তারা এখন গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছে। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা হাস্যকর। তারা যা করছে আসলে তা জনগণের সাথে প্রতারণা।
কাদের বলেন, বিএনপির গনতন্ত্র হচ্ছে, রাতের বেলায় কারফিউ, আর নিজ দলে বছরের পর বছর কমিটি গঠনে ব্যর্থ হওয়া। আবার কমিটি গঠন হলেও তা নিয়ে নিজ দলের অফিসে নিজেরা আগুন দেয়া। জন্মলগ্ন থেকে বিএনপি গণতন্ত্রের মুখোশ পরে চললেও তাদের নেতাদের মুখচ্ছবিতে জুলুমতন্ত্র আর সুবিধাবাদের প্রতিচ্ছবি বার বার ফুটে উঠে। ওবায়দুল কাদের, বিএনপির গণতন্ত্র চর্চার সাফল্য বলতে ‘হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে দুর্নীতি লালন – পালন ও বিকাশ কেন্দ্র।’ সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে মনে হয়, দেশটা তারা স্বাধীন করেছে। আর আওয়ামী লীগ সাইড লাইনে বসে বসে দেখেছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই এসেছে এদেশের স্বাধীনতা এবং দেশের স্বাধীনতার সুরক্ষা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে। বিএনপি’র রাজনীতি এখন জনমুখী নয়,তাদের রাজনীতির মওকা এখন পদ্মা মেঘনা যমুনার তীরের মানুষ নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন তাকিয়ে থাকে টেমস নদীর তীরের দিকে। বিএনপির নেতৃত্বের কোন সক্ষমতা নেই, যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের, তারা নির্দেশ পালনকারী মাত্র। তাই জনগণ এখন বুঝতে পারছে -পুতুল কোথা থেকে নাচানো হয় আর সুতার টান কোথায়? এদেশের রাজনীতিতে সততা আর ত্যাগের প্রতিক হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু পরিবার উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের হাতে কোন ভাঙ্গা স্যুটকেস ছিলোনা,যা থেকে বড় বড় জাহাজ বেরিয়ে আসবে,ছিলো শুধু জনগণের ভালোবাসা। এদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবার ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল।
তিনি বলেন, ক্ষমতা ভাগাভাগি আর উচ্ছৃষ্ট ভোগ করা বিএনপির ঐতিহ্য, আর ভোগ বিলাস দূর্নীতি, ষড়যন্ত্র বিএনপির মজ্জাগত। বিএনপি ক্ষমতাকে নিজেদের ভাগ্যবদলের উৎস মনে করে। বঙ্গবন্ধু পরিবার নিয়ে মনগড়া কথা এবং মিথ্যাচার বিএনপির বিকৃত মানসিকতা আর ইতিহাস বিকৃতির ধারাবাহিকতা মাত্র।
আগামী ২ বছরের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডব্লিুএইচও, এফএডি এবং ওআইই কর্তৃক ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) কো-চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ায় দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।