বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ফুলপুরে রাস্তার কাজে গাফেলতি জনদুর্ভোগ চরমে মুন্সীগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হত্যাকান্ডের প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন জামালপুরের মেষ্টা উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি বাতিল দাবিতে অভিভাবকদের বিক্ষোভ কালিয়া পৌরসভার বাজেট ঘোষণা জলঢাকায় পাট চাষি প্রশিক্ষন শ্রীমঙ্গলে সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট এর প্রকল্প সমাপনী ও প্রকাশনা কুড়িগ্রামে স্কুল পর্যায়ে বিতর্ক কুইজ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সফল পোনা চাষী শিক্ষক চিনু মাস্টার অপসোনিন ফার্মা আয়োজিত জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে বৃক্ষরোপণ তিস্তা সেচ ক্যানেলের ধারে পড়ে থাকা মাইন সদৃশ বোমা উদ্ধার

মিল মালিকদের ২০ শতাংশ চাল সরবরাহের প্রস্তাব খাদ্যমন্ত্রীর প্রত্যাখ্যান

মোশারফ হোসেন জুয়েল নওগাঁ :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০

সরকারি খাদ্যগুদামে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২০ শতাংশ চাল সরবরাহ করতে মিল মালিকরা প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি মিল মালিকদের সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিন ঘন্টাব্যাপী নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চলতি মওসুমে আমন সংগ্রহ উপলক্ষে রাজশাহী ও রংপুর খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে খাদ্যমন্ত্রীর এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত মিল মালিক নেতারা এই প্রস্তাব দেন। খাদ্যমন্ত্রী এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভা চলাকালীন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে সভাকক্ষের বাইরে যান চালকল মালিকরা। পরে তারা ফিরে এসে মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২০ শতাংশ এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের প্রস্তাব দেন। খাদ্যমন্ত্রী তাৎক্ষণিক তাদের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী বলেন, ‘আমরা অনেক আগে থেকেই চালের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছিলাম। বাজারে ধানের দাম বেশি। বেশি দামে ধান কিনে চাল উৎপাদন করে গুদামে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশ চাল গুদামে সরবরাহ করতে খাদ্যমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।’ নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, ‘বাজারে নতুন আমন ধানের দাম বেশি। গুদামে চাল সরবরাহ করতে যে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে তা চলমান থাকলে মিল মালিকদের জন্য সুবিধা হবে। যখন ধানের বাজার স্বাভাবিক হবে তখন মিলাররা চাহিদা মতো গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারবেন।’ উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে মিলারদের কাছ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ২৬ টাকা কেজি দরে কৃষকদের কাছ থেকে দুই লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর আমন ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। ১৫ নভেম্বর চুক্তির শেষ সময় থাকলেও পরে মিল মালিকদের অনুরোধে ২৫ নভেম্বর ধার্য করা হয়। নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশিদ এতে সভাপতিত্ব করেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, মহা পরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো: আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী, নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি ও নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, খাদ্য বিভাগের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা ও মিল মালিক নেতৃবৃন্দ এবং সুধীজনরা এতে উপস্থিত ছিলেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com