করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই এখন অন্তত ৫ হাজারের বেশি মানুষ পাড়ি দিচ্ছেন পরপারে। গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল নভেল করোনাভাইরাস। সেই থেকে সারা বিশ্বব্যাপি মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্বের প্রায় ২০৯টি দেশ এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৫০হাজার ছুঁই ছুঁই। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্তের দিক দিয়ে সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র আর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বে মোট ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ২৬৮৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অবশ্য ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন।
চীনের মূল ভূ-খন্ড উহানে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করা হয়। শুরুর দিকে শুধুমাত্র উহানেই সীমাবদ্ধ ছিল ভাইরাসটির বিস্তার। তবে ধীরে ধীরে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং ইরানে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। ইরানে তাণ্ডব চালাতে চালাতেই ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এসে ইতালিতে শুরু হয় ভাইরাসের প্রকোপ।
মার্চের শুরুর দিকেই ইতালিতে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। এরপর ইউরোপের বাকি দেশগুলো- স্পেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এর উপস্থিতি বাড়তে থাকে আটলান্টিকের ওপারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনা আক্রান্ত পৌনে ৫ লাখ (৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩৬৬জন)। মৃত্যু ১৭ হাজার ৯২৭জন। মৃতের সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখন রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে ইতালিতে। দেশটিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭জন। মৃত্যু হয়েছে ১৮৮৪৯ জনের।
মৃতের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পেন। ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৯৭০ জনের। ফ্রান্সে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ২২১ জনের। আক্রান্ত ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৯ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত বেশি, মৃত্যু কম। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ৬২৪ জন। মৃত্যু ২ হাজার ৬০৭ জন।
যুক্তরাজ্যে আজও মৃত্যু হয়েছে ৯৫৩ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৮৯৩১ জন। ইরানে আক্রান্ত ৬৮ হাজার ১৯২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ ২৩২ জন। বেলজিয়ামে মৃত্যু ৩ হাজার ১৯জন। নেদারল্যান্ডসে মৃত্যু ঘটেছে ২৫১১ জনের।
এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৬ জনের মধ্যে মৃত্যু এবং সুস্থ হওয়াজনিত কারণে ভাইরাস থেক মুক্তি মিলেছে মোট ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪১ জনের। এখন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে, কিংবা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৫ ব্যক্তি। এদের মধ্যে ৪ ভাগ তথা ৫০ হাজার ৪৬ জন রয়েছে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। বাকি ১১ লাখ ২৮ হাজার ৪০৯ জন এখনও ঝুঁকিমুক্ত।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র