১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছাতক করোনা ভাইরাস মুক্ত বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এমন রোগী এখন পর্যন্ত সনাক্ত হয়নি। তবে ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ২৬ জনের মধ্যে ৬জন শহরের এবং বাকিরা মফস্বল এলাকার বাসিন্দা। তারা সবাই হোস কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

ছাতকে করোনা ভাইরাস সংক্রমক প্রতিরোধে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা করা হয়েছে সামাজিক লক ডাউন। ফলে এসব পাড়া-মহল্লায় অন্য এলাকার মানূষ সহজেই প্রবেশ করতে পারছে না। এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যেতেও বেশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমক প্রতিরোধে স্ব স্ব এলাকাকে মুক্ত রাখতে এলাকাভিত্তিক সামাজিক সংগঠন এসব উদ্যোগ গ্রহন করে প্রসংশিত হয়েছে।

শহরের মন্ডলীভোগ, কালীবাড়ী, বাগবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় চলছে সামাজিক লক ডাউন। এদিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের গোবিন্দগঞ্জে জেলা সীমান্ত এলাকায় বাঁশ দিয়ে সড়ক লকডাউন করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। গণপরিবহন সম্পূনরূপে বন্ধ করতেই সওজ এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে সিলেটে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মইন উদ্দিনের চেম্বার-সহকারী উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের নানকার গ্রামের সৈয়দ আহমদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। ৭ এপ্রিল লকডাউন করা ওই বাড়ির ৩ টি পরিবারকে ১৪ দিন নিজ ঘরে থাকার নিদের্শনা দেয় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

এ সময় উপজেলা হেলথ কর্মকর্তা রাজিব চক্রবর্তী, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত উপস্থিত ছিলেন। ওই বাড়িটি লকডাউনের করার পর থেকে ৩ পরিবারের ১৫ জন নারী-পুরুষ নিজ ঘরেই অবস্থান করছেন। ১৪ দিনের মধ্যে ৪াদন অতিবিাহিত হতেই এসব পরিবারের লোকজন এখন খাদ্য সংকটে পড়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে গত কয়েকদিনে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে এলাকায় আসা লোকজনদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ঢাকা, নারয়নগঞ্জ ও নরসিংদি এলাকা থেকে এসে নিজ নিজ গ্রামে অবস্থান করছেন। তারা হোম কোয়ারেন্টাইন ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধে চলাফেরা করছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা রাজীব চক্রবর্ত্তী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ছাতক করোনা ভাইরাস মুক্ত বলে নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা ২৬জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে যে ৪জনেররিপোর্ট হাতে এসেছে তারা করোনা ভাইরাস মুক্ত। বাকি রিপোর্ট গুরোও দু’একদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।

এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র