করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর কর্মচারীরা ঘরে ও অফিসে বসে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল করায় গ্রাহকের মাথায় বজ্রপাত পড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মার্চ মাসের বিল ভুতুরী বিলে পরিণত হয়েছে। যশোর পাঁচবাড়িয়া ফিডারের গ্রাহকেরা মোবাইল মেসেজ এর মাধ্যমে বিল পেয়ে হতবাক হয়ে পড়েছেন। যেখানে বিল আসার কথা ১শ’ থেকে ২শ’ ইউনিট সেখানে বিল কষা হয়েছে দেড় শতাধিক থেকে ৩শ’ ইউনিট। যা থেকে টাকার পরিমান হয়েছে ৮শ’ টাকার স্থলে ১৫ শত টাকার অধিক। ওয়েষ্ট জোর পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃক দেশের মহামারি সময় ভূতুরি বিল করায় গ্রাহকেরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ওজোপাডিকো লিমিটেড যশোর -২ এর অধীনে পাঁচবাড়িয়া ফিডারের গ্রাহক আশরাফ আলী জানান, তার বাড়ির দু’টি মিটারের একটি মিটারের বিদ্যুৎ বিল নং ২০০৩৫০২২২৩৮৫৫ হিসেবে গ্রাহক নাম্বার ৫০২২২৩৮৫৫। ফেব্রুয়ারী মাসে উক্ত মিটারে ১শ’ ৩০ ইউনিট প্রদান করা হয়। তাকে ফেব্রুয়ারী মাসে প্রদত্ত বিল আসে ৬শ’ ৮৩ টাকা। সেই হিসেবে মার্চ মাসে বিল ইউনিট বাড়িয়ে আসতে পারে ১শ’ ৫০ থেকে ১শ’ ৬৫ ইউনিট। যা বিল আসার সম্ভবনা ৮শ’ থেকে সাড়ে ৮শ’ টাকা। সেখানে উক্ত গ্রাহকের মার্চ মাসের বিল কষা হয়েছে ১৪শ’ ৯০ টাকা। যা গ্রাহককে মোবাইল মেসেজ এর মাধ্যমে ১০ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৮ টা বেজে ২৯ মিটিনের ৪০ সেকেন্ডে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল মেসেজ পেয়ে গ্রাহক বিলে দেখে হতবাক হয়ে পড়েন। তিনি বিষয়টি মিটার রিডারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি গ্রাহকের পরিবারকে জানান,করোনা ভাইরাস এর কারণে সরেজমিনে না গিয়ে আন্দাজের উপর বিল কষা হয়েছে। এই মাসে চালিয়ে নেন। আগামী মাসে সমন্বয় করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, যশোর সদর উপজেলা এলাকার ওজোপাডিকো লিমিটেড এর অধীনে প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহকের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে দ্বিগুন থেকে চারগুন টাকা। করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্বে যেখানে মানুষ নাভিশ্বাষ হয়ে উঠেছে সেখানে ওজোপাডিকো লিমিটেড এর খামখেয়ালিপনা বিল গ্রাহকের উপর চাপিয়ে দেওয়ায় গ্রাহকেরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। ওই ফিডারসহ আশপাশের প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহকেরা বিল সংশোধন পূর্বক গ্রাহককে দেওয়ার জন্য ওজোপাডিকো লিমিটেড এর কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র