অনলাইন যোগাযোগে গত বছর রেকর্ড সংখ্যক ছুঁয়েছে বাংলাদেশিদের ইমোর ব্যবহার। এ সময় বাংলাদেশি ইমো ব্যবহারকারীরা প্রায় ৯৬৮০ কোটি মেসেজ এবং ২৬০০ কোটি অডিও ও ভিডিও কল করেছে। যেখানে ২০১৯ সালের তুলনায় ৮ দশমিক ২ শতাংশ মেসেজে এবং ৭ দশমিক ৮ শতাংশ অডিও ও ভিডিও কল বৃদ্ধি পেয়েছে। গত রোববার (১০ জানুয়ারি) ২০২০ সাল নিয়ে ইমোর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত বছর ইমোর মাধ্যমে প্রত্যেক বাংলাদেশি গড়ে প্রায় ৭৫৩ বার মেসেজ বা কল করেছে। এরমধ্যে মোট মেসেজের ৩১ শতাংশ অর্থাৎ ৩ হাজার কোটি মেসেজ এবং মোট কলের ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ দেড় হাজার কোটি কল ছিল আন্তর্জাতিক। যা বাংলাদেশে বসবাসকারীদের সঙ্গে দেশের বাইরে থাকা বিপুল পরিমাণ প্রবাসীদের যোগাযোগের ব্যাপারটি নির্দেশ করে। বাংলাদেশি ইমো ব্যবহারকারীদের আন্তর্জাতিক কল সর্বোচ্চ যেসব দেশে গিয়েছে তারমধ্যে পাঁচটি দেশ হলো- সৌদি আরব, ওমান, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার। গত বছরের মে মাসে ইমো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করোনা মোকাবিলায় পাঁচটি বিশেষ হটলাইন নম্বর বাংলাদেশের তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি অধিদফতরের জন্য বরাদ্দ করেছিল। যাতে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা ওই নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন।
বাংলাদেশিদের মাঝে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার প্রবণতা অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় ২০২০ সালে বেশি ছিল। এ বছরে প্রায় ১৩ কোটি গ্রুপ কল এবং ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করা ইমো’র ইন্টারেকশন ফিচার প্লে-টুগেদারের মাধ্যমে ১২ দশমিক ৮ কোটি ভার্চুয়াল পার্টি রুম তৈরি হয়েছে। এছাড়া সহজভাবে ব্যবহারযোগ্য এবং ইন্টারেক্টিভ মাধ্যম হওয়ার পাশাপাশি অনলাইন কমিউনিকেশনের জন্য ইমো আরও সহজলভ্য এবং স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার উপযোগী প্ল্যাটফর্ম তৈরি অব্যাহত রাখবে। বাজারের সেরা প্রযুক্তি এবং স্থানীয় কমিউনিকেশন প্রযুক্তি নিয়ে ইমো ইন্টারনেট স্বল্পতা সত্ত্বেও ডাটা সক্ষমতার মাধ্যমে ইউজারদের জন্য কলের সুবিধা বাস্তবায়িত করতে পেরেছে। বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য ২০২০ সালে ইমো ভিডিও ও অডিও কলে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন গিগাবাইট ডাটা বাঁচিয়েছে, যার মূল্য প্রায় ১৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইমো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস হিউ বলেন, গত বছরের কঠিন সময়ে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ দেশে এবং দেশের বাইরের প্রিয়জনের সঙ্গে প্রিয় মুহূর্তগুলো ইমো’তে ভাগাভাগি করে নেয়ায় আমরা গর্ববোধ করছি। ২০২১ সালে আমরা নতুন কিছু প্রত্যাশা করি এবং ইমো বাংলাদেশে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্থানীয় সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপদ প্রোডাক্ট ও সার্ভিস অব্যাহত রাখবে।