মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৮ অপরাহ্ন

সবজির ভালো ফলনেও দাম নিয়ে কপালে ভাঁজ কৃষকের

এম কে মনির সীতাকুণ্ড :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২১

শিমের রাজ্য বলে খ্যাত চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার সীতাকু-। এ উপজেলার বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে চলতি মৌসুমে বিভিন্ন প্রকার সবজির বাম্পার ফলন লক্ষণীয়। তবে এবার ভালো ফলন হলেও দাম নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় বাজারে ন্যার্য দাম পাচ্ছে না কৃষকরা। ফলে এই মৌসুমে ফসলে বিনিয়োগকৃত অর্থ ওঠে আসা নিয়ে চিন্তিত সীতাকু-ের কৃষকরা। উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বড় দারোগারহাট, পৌরসদর মোহন্তের হাট, শুকলাল হাট, কুমিরা বাজার, ভাটিয়ারী পাইকারি সবজি বাজারে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে কৃষকরা এসব বাজারে সবজি পাইকারি বিক্রি করার উদ্দেশ্য নিয়ে আসেন। আর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাইকাররা সেসব হাট থেকে সবজি কিনে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। সম্প্রতি এসব বাজার ঘুরে বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে বেশির ভাগ সবজি লোকসানে বিক্রয় করতে হচ্ছে তাদের। কৃষকরা সব খরচ যোগ করে যে দাম পাওয়ার কথা তা পাচ্ছেন বলে জানালেও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে বাজার মূল্য সহনশীল থাকায় কৃষকরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় দুই হাজার সাতশ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। এতে উৎপন্ন হয়েছে বেগুন, মুলা, টমেটো, বরবটি, শসা, লাউ, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্ষীরাসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন সবজি। এছাড়া প্রায় দুই হাজার আটশ হেক্টর জমিতে শিমের চাষ হয়েছে। মঙ্গলবার বাজারে আসা শেখের হাটের কৃষক রাসেল বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। তিনশ ফুলকপি প্রতিটি ১০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। সার, কীটনাশক, সেচ খরচে ব্যয় হয়েছে অনেক টাকা। ফুলকপি উৎপাদন করতে যে টাকা খরচ হয়েছে, তার অর্ধেক দামে বিক্রি করতে পারছি না। প্রায় পাইকার একই ধরনের কথা দাম বলে। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের দামে বিক্রি করতে হয়। পৌরসভার ইদিলপুর গ্রামের সবজি চাষী নুর ইসলাম জানান, আমি ৪০ শতাংশ জমিতে শীম চাষ করেছি। মৌসুম শেষের দিকে হলেও এখনো মূলধন ওঠে আসেনি। বাড়বকু-ের কৃষক জহিরুল ইসলাম জানান, তিনি ৩০ শতক জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। তবে এ পর্যন্ত মাত্র ৫৬ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করছেন। এরকম চলতে থাকলে মোট উৎপাদন খরচও উঠবে না। এখন ধার-কর্জ নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। একইভাবে বাজারে আসা বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকেরা জানান, ভালো ফলন হলেও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় তাদের খরচ পোষে আসছে না। সীতাকু- উপজেলা উদ্ভিদ ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র নাথ জানান বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়া মধ্যেও এবার সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকায় কৃষকরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com