সুবিধাবঞ্চিতদের নিয়ে চট্টগ্রাম শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিবাসী শিশুদের নিয়ে পিঠাপুলি উৎসব, শিক্ষা সহায়ক উপকরন বিতরণ,বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা,সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। মুজিববর্ষে শিশুদের ইংরেজি নববর্ষের আনন্দ ঘনীভূত করতে এই কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করে চট্টগ্রাম শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। কেন্দ্রে নিবাসী শিশুদের ‘বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ’ ভিত্তিক মনোজ্ঞ “ডিসপ্লে প্রদর্শন” উপভোগ করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। সন্ধ্যায় কেন্দ্রের হল রুমে উপ-পরিচালক জেসমিন আকতারে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন। নতুন বছর উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত কেন্দ্রের নিবাসী শিশুদের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য ২৯ রকমের আইটেম দিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন কেন্দ্রটি। সমাজসেবা মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের যৌথ তত্বাবধানে এই কেন্দ্রটি সুবিধাবঞ্চিত শিশু প্রতিবন্ধী,ঝুকিপূর্ণ শিশুদের সেবা দিয়ে আসছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মিলনমেলায় বার্তা বাহক ঋতুরাজ মাঘের শীতের সময়ের শুভক্ষণে অনিন্দ্য সুন্দর এ পিঠা উৎসবে ঠাঁই পেয়েছে চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বাহারী স্বাদের হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- শীতকালীন জনপ্রিয় ভাপা পিঠা, পিঠা আতিক্কা পিঠা, গুরা পিঠা, বিন্নী চালের পাটিসাপটা পিঠা ও ঝোল ভাপা পিঠা, কালাই-রুটি,পাকন পিঠা, সিধল ভর্তা- চিতই পিঠা গোলাপ নকশি পিঠা, সিরিঞ্জ পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, চুঁই পিঠা, ডিম পেস্ট্রি পিঠা, পানতোয়া পিঠা, পোয়া পিঠা, দুধ-পুলি পিঠা, ঝাল-পুলি পিঠা, ফ্লাওয়ার সমুচা পিঠা, দুধ-চিতই পিঠা, লবঙ্গ লতিকা পিঠা, ঝিনুক পিঠা, ফিশ ফিঙ্গার পিঠার ২৯টি আইটেম। উক্ত অনুষ্ঠানে, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও নৃত্যে বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম, ফরহাদাবাদ প্যানেল চেয়ারম্যান মো.আলী আকবর,ইউএনওর সহধর্মিনী ফারজানা শারমিন মৌসুমি,ও সমাজসেবা কর্মকর্তার সহধর্মিনী সারজিনা নুর সহ কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। প্রসঙ্গত: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র সমাজের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।