সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড পৌরসভা নির্বাচনের রেশ কাটেনি এখনও। এরই মধ্যে জমে ওঠেছে সীতাকুন্ড পৌরসদর ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির নির্বাচন। সীতাকু-ে এখন বইছে ভিন্ন এক নির্বাচনী হাওয়া। এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের রেকর্ড প্রচারণা এখন ‘টক অব দ্যা সীতাকুন্ড”। দােকান মালিক সমিতির এ নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৭টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৩ জন প্রার্থী। কেবল সদস্য পদেই বয়েছেন ১২ জন প্রার্থী। তবে যে পদেরই প্রার্থী হন না কেন প্রচার প্রচারণায় পিছিয়ে নেই কেউই। পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো সীতাকুন্ড বাজার। যেন রীতিমত পােস্টারের শহর সীতাকু-। পৌরসদর ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির এবারের নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. রফিকুল ইসলাম খবরপত্রকে জানান, সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ একটি নির্বাচন উপহার দেয়ার লক্ষে আমরা সর্বাত্নক কাজ করছি। এ নির্বাচনে ভােটার রয়েছেন ১৫৭৬ জন। মােট ১৭টি পদের বিপরীতে ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতিপূর্বে দপ্তর সম্পাদক ও ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, বিজয়ী প্রার্থীরা আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। সীতাকুন্ড সরকারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ বাহিনী নিয়ােজিত থাকবে। এছাড়া সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম নির্বাচন চলাকালীন উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এসময় তিনি নির্বাচন সম্পূর্ণ দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেন। এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। এসময় কথা হয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান লিটনের সাথে। তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে এমন প্রচার-প্রচারণা অবাধ গণতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। এ বিষয়ে গত দুইবার বিভিন্ন পদে নির্বাচিত ও এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, সীতাকু- বাজারের ব্যবসায়ীদের বহুল কাঙ্খিত এ নির্বাচন। আশা করছি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের মধ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে। এসময় তিনি নির্বাচিত হলে বাজারের ছােট-বড় সকল ব্যবসায়ীদেরকে সমান সুযােগ প্রদানের কথা তুলে পারেন।