রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চলতি রবি মৌসুমে তিস্তা নদীর জেগে ওঠা ধু-ধু বালু চরে পেঁয়াজের ভালো ফলনে চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। জানা গেছে, গত বছর পেঁয়াজের সংকট এবং দাম বেশি হওয়ায় এসব চর এলাকায় চাষীরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় গম, তামাক না করে এবারে চরাঞ্চলে পেঁয়াজ চাষে বুঁকে পড়েছে চাষীরা। সর্বনাশ তিস্তায় জেগে ওঠা চরসমূহে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পেঁয়াজের বাম্পার ফলন। এসব চর এলাকায় কৃষক বন্যায় আমন চাষে ক্ষতিগ্রন্থ পেঁয়াজ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছে। পেঁয়াজ চাষী নজরুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ ক্ষেতে আপদ ও রোগ বালাই দেখা যায়নি। পেঁয়াজ ঘরে তোলার সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রোপা আপনের ক্ষতি পেঁয়াজ দিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যাবে। অপরদিকে পেঁয়াজ চাষীরা বলছেন, বর্তমান বাজার স্থিতিশীল পেঁয়াজ চাষীরা লাভবান হবে। এছাড়াও আগামীতে পেঁয়াজ চাষীদের আগ্রহী হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে এ উপজেলায় ১৭০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। গত বছরের পেঁয়াজের সংকট এবং মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় সরকার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে চাষীদের বিনামূল্যে পেঁয়াজের বীজ ও সহায়তা দিয়েছে। চাষীরা অন্যানা ফসলের তুলনায় পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তিনি আশা করেন এবার পেঁয়াজ চাষ ও বাম্পার ফলনে উৎপাদিত পেঁয়াজ দেশের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।