ব্যস্ততা বেড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। শিক্ষক ও কর্মচারীরা করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে শ্রেণিকক্ষ সাজানো, আসন বিন্যাস, প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ সহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খুব শীঘ্রই প্রাণ ফিরবে স্কুল, কলেজ, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায়। সরকারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে ইতিমধ্যে। নরসিংদীর বেলাবতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে করোনাকালীন সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্রতি বেঞ্চে একজন এবং দুরত্ব বজায় রেখে বেঞ্চগুলো বসানো হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কক্ষের বাইরে প্রবেশপথ গুলোতে হাত-মুখ ধোয়ার জন্য বেসিন স্থাপন, দৃষ্টিসীমার মধ্যে করোনা সতর্কতা মূলক পোস্টার, ব্যানার টানানো হয়েছে, পরিষ্কারক সামগ্রী সাবান, স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোড়াদিয়া ওয়াসীম উদ্দীন খান অনার্স কলেজ, বেলাব সরকারি পাইলট মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়, পোড়াদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, হাড়িসাংগান উচ্চ বিদ্যালয়, চিতাইন দাখিল মাদ্রাসা, পোড়াদিয়া কারিগরি মহাবিদ্যালয়, দেওয়ানের চর উচ্চ বিদ্যালয়, বারৈচা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাসিমনগর উচ্চ বিদ্যালয় গুলো ঘুরে দেখা যায় তারা বিদ্যালয়গুলোকে সাজিয়েছেন পুরো নতুন আঙ্গিকে। এ সময় পোড়াদিয়া ওয়াসীম উদ্দীন খান অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ জনাব আতাউর রহমান খান জানান ‘আমাদের কলেজ ইতিমধ্যেই করোনাকালীন ক্লাস, পরীক্ষাগ্রহণ সহ সকল কার্যক্রমের প্রস্তুতি হাতে নিয়ে রেখেছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক বাবু প্রবীর কুমার ঘোষ, বিমল চন্দ্র দাস আঃ মজিদ আফ্রাদ জানান ও মোস্তফা কামাল জানান ‘করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখে এবং করোনাকালীন সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ প্রসঙ্গে কথা হয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব শেখ মতিউর রহমান বলেন, ‘করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার জন্য সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ইতিমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছি। আমি নিজেও কার্যক্রমগুলো পর্যবেক্ষণ করছি।