শিশুরা অনেক সময় আজে-বাজে জিনিস মুখে নিয়ে থাকে। যার ফলে তাদের মুখে জীবাণু ঢুকতে পারে সহজেই। এ ছাড়াও শিশুরা বিভিন্ন জিনিস হাত দিয়ে ধরে এরপর মুখে হাত নেয়। এসব কারণে তাদের মুখে সহজেই জীবাণু ঢুকে সংক্রমণ ঘটায়। বিশেষ করে মুখের আলসারে সব শিশুরাই কম-বেশি ভুগে থাকে।
বেশ কয়েকটি কারণে শিশুর মুখের আলসার বা ঘা হতে পারে। যেমন- আঘাত, ভিটামিন বা খনিজ পদার্থের অভাব ইত্যাদি। যদিও মুখের আলসার সংক্রামক হয় না। কিছু পরামর্শ মানলেই বাড়িতে এর চিকিৎসা করা যেতে পারে। চলুন তবে জেনে নিন শিশুর মুখের ঘা দূর করার ঘরোয়া টোটকা-
>> মধু জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। এজন্য ১-৩ বছর বয়সী শিশুর মুখে ঘা হলে মধু ব্যবহার করাই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর দাওয়াই। >> শিশুর মুখের আলসারের চিকিৎসায় হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা সব ধরনের ক্ষত নিরাময় করে।
>> নারকেল দুধ দিয়ে গার্গল করলে ব্যথা বা জ্বলুনিভাবে কমবে। এ ছাড়াও ক্ষতে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের মুখের দূষিত ক্ষতের চিকিৎসা নারকেল তেল কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
>> দই দিয়েও শিশুর মুখের ঘা নিরাময় করা যায়। দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ক্ষত এলাকায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। >> তুলসি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা আছে। ২-৫ বছর বয়সী শিশুদের মুখে ঘা হলে তুলসি পাতা চিবিয়ে খাওয়াবেন। এতেই ঘা সেরে যাবে। >> শিশুর মুখে যদি কিছুদিন পরপরই ঘা হতে থাকে; তাহলে পোস্ত দানা ও নারকেলের ক্যান্ডি খেতে দিন। মিছরির গুঁড়ো, পোস্ত দানা ও কোড়া নারকেল ব্লেন্ড করে ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে নিন। এই ক্যান্ডি শিশুকে চুষতে দিন। শিশুর শরীরের তাপ বাড়ার কারণে যদি আলসার হয়ে থাকে; তবে এটি হলো প্রতিরোধ করার উপায়।
>> ঘি শিশুর মুখের ঘা সারাতে বিস্ময়কর কাজ করে। ভালো ফলাফল পেতে শিশুর মুখের আক্রান্ত স্থানে দিনে অন্তত তিনবার ঘি ব্যবহার করুন। ঘি দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে এবং ব্যথা কমায়। >> অ্যালোভেরার জেল পানিতে মিশিয়ে শিশুকে কুলি করতে বলুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে তিনবার এটি দিয়ে মুখ ধোয়াতে পারেন। >> ২ কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু ভিজিয়ে রাখুন। এ পানি দিয়ে শিশুকে প্রতিদিন কয়েকবার গার্গল করালে মুখের আলসার সেরে যাবে।