নওগাঁর রাণীনগরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাধারন মানুষদের জনসমাগম না করতে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাসহ বিভিন্ন নিয়ম-কানুন মেনে চলতে রাস্তায় নেমে সাধারন মানুষদের উদ্বুদ্ধ ও সতর্ক করছেন সাংসদ ইসরাফিল আলম। সকল মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সতর্কতা ও করনীয় বিষয়গুলোর উপর ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালানো হলেও কিছু কিছু মানুষরা কোন প্রয়োজন না থাকলেও ঘর থেকে জোর করে রাস্তায় বের হচ্ছেন, অযথা বিভিন্ন মোড়ে ও দোকানে জটলা সৃষ্টি করছেন। এই সকল নিষিদ্ধ কর্মকান্ড করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিকে আরো দ্বিগুন করছে।
প্রশাসনসহ নিরাপত্তা সদস্যরা যথেষ্ট চেষ্টা করছেন মানুষদের এই সব নিয়ম-কানুনগুরো সঠিক ভাবে পালন করতে তবুও একশ্রেণির মানুষরা এই সব নিষিদ্ধ কর্মকান্ড করেই চলেছেন। এই সব কর্মকান্ড বন্ধ করতে ও মানুষদের আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বন করার লক্ষ্যে রাণীনগর ও আাত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জনসমাগম বন্ধ করছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অবশ্যই করনীয় বিষয়গুলো মেনে চলতে সাধারন মানুষদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিনই রাস্তায় নেমে কাজ করছেন নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: ইসরাফিল আলম। তিনি মঙ্গলবার রাণীনগর উপজেলা বাসস্ট্যান্ডের জনসমাগম ভেঙ্গে দেন। অযথা বাহিরে বের হওয়া মানুষদের করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে ও এই ভাইরাস প্রতিরোধে অবশ্যই করনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন, কর্মচারী আল-মামুন, আজাহার আলী, যুবলীগ নেতা রাহিম, আজিজ প্রমুখ। এছাড়াও সাংসদ সবাইকে ঘরে বসে ভিন্নধর্মী পহেলা বৈশাখ পালনের নির্দেশনা প্রদান করাসহ নির্বাচনী এলাকাসহ দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এসময় নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: ইসরাফিল আলম বলেন এই মরণঘাতক ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সাবধানতা ও সতর্কতা অবলম্বন করাই হলো এই রোগের প্রধান ওষুধ। কিন্তু আমরা অনেকে জেনেও এই নিয়মগুলো সঠিক ভাবে মেনে চলছি না। এতে করে নিজেদের বিপদ আমরা নিজেরাই ডেকে আনছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা যারা নিজ নিজ এলাকায় আসছি তারাও সঠিক ভাবে নিয়মগুলো মানছি না। আমরা নিজেরাই যদি সতর্ক না হই তাহলে প্রশাসনের একার পক্ষে মানুষকে ঘরে বন্দি করে রাখা সম্ভব নয়। সরকারের পাশাপাশি আমরাও তো সাধ্যমতো কর্মহীনদের ঘরে ঘরে খাবার সামগ্রী পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এই মহাবিপদে সাধারন মানুষদের জন্য জেলার অন্যান্য সাংসদদের কোন কর্মকান্ড চোখে না পড়লেও আমি সাধারন ছুটি ঘোষনার পর থেকে আমার নির্বাচনী এলকায় এসে এই ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। আমি প্রতিদিনই সকাল ও বিকেলে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জনসমাগম বন্ধ করছি, সাধারন মানুষদের সচেতন করছি ও সার্বিক খোঁজ-খবর নিচ্ছি। অথচ অন্যান্য সাংসদরা ঘরের বাহিরেই বের হচ্ছেন না। যতদিন আল্লাহ আমাকে সুস্থ্য রেখেছেন ততদিন আমি আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষদের জন্য কাজ করে যেতে চাই। বিপদে-আপদে পাশে থেকে সেবা করে যেতে চাই।
ই-খ/খবরপত্র