আজ যে শিশু, সেই আগামীর অভিভাবক। আজকের পৌঢ় লোকটিও একদিন শিশু ছিলেন। একেক বয়সের রয়েছে একেক সৌন্দর্য। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বদলায় আমাদের প্রয়োজনীয়তার ধরন। একটি শিশু আর একজন বয়স্ক লোকের খাবারের তালিকা একইরকম হবে না। আবার একটি নির্দিষ্ট বয়স পার করার পর অনেক রকম বাধা-নিষেধ থাকে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে। এর বড় কারণ হলো, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নানা অসুখ বাসা বাঁধতে পারে আমাদের শরীরে। আবার বয়স বাড়লে কমতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
একটি দীর্ঘ জীবনের প্রধান রহস্য হলো সুস্থ থাকা। তাই সুস্থ থাকার জন্য সব বয়সেই সচেষ্ট থাকতে হবে। পুষ্টিকর নানা খাবার পরিমিতভাবে খেতে হবে। বয়স পঞ্চাশ পার হলে খাবারের দিকে আরও মনোযোগী হতে হবে। কারণ এসময় খাবারের ক্ষেত্রে সচেতন না হলে বিভিন্নরকম অসুখ দেখা দেয়ার ভয় থাকে। তাই নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে এই বয়সী কেউ থাকলে তার খাবারের তালিকায় নজর দিন। সেখানে রাখুন এমন সব খাবার, যা তাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
প্রতিদিন একটি আপেল: সবচেয়ে উপকারী ফলের তালিকা করা হলে তার ভেতরে উপরের দিকেই থাকবে আপেলের নাম। এই একটি ফল নানা উপায়ে আমাদের জন্য উপকার ডেকে আনে। বলা হয়ে থাকে, প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে তা ডাক্তার থেকে দূরে রাখে। অর্থাৎ, অসুস্থ হতে দেয় না। উপকারী এই ফলে আছে পলিফেনলস এবং পেকটিন নামক দুটি উপাদান। এই দুই উপাদান আমাদের শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টরল দূর করে এবং উপকারী কোলেস্টরল বাড়ায়। তাই প্রতিদিন একটি আপেল খেলে সুস্থতা অনেকটাই নিশ্চিত হয়। বয়স পঞ্চাশ পার হলে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একটি করে আপেল রাখুন।
টমেটোর উপকারিতা: টমেটো বেশ উপকারী একটি সবজি। টমেটোর সালাদ, টমেটোর চাটনি কিংবা টমেটোর স্যুপ যা-ই হোক না কেন, খেতে কিন্তু ভীষণ সুস্বাদু। তবে বেশি পুষ্টি পেতে চাইলে টমেটো খেতে হবে রান্না না করেই। অর্থাৎ সালাদ খেলে মিলবে বেশি উপকার। বয়স পঞ্চাশ পার হলে বেশিরভাগ পুরুষের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। টমেটো সব রকম ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় তাই টমেটো রাখা জরুরি। উপকারী এই সবজিতে আছে লাইকোপেন। লাইকোপেন প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
আদার উপকারিতা: আদার গুণের কথা আমরা সব সময়ই শুনে থাকি। এই ভেষজ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন অল্প করে কাঁচা আদার রস খেলে তা বয়সজনিত নানা ব্যথা তাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি সতেজ অনুভূতি দেয়, সারাদিন কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, আথ্রাইটিস রোগীদের জন্য আদা বেশ উপকারী। চা কিংবা গরম পানির সঙ্গে আদা মিশিয়ে খেলে তা শরীরের নানা অংশের ব্যথা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।