বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান রোববার বলেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের একমাত্র সমাধান মিয়ানমারের নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতকালে তিনি বলেন, ‘তুরস্ক রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে সর্বদা বাংলাদেশকে সমর্থন করেছে এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস জানান, মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়ার পরপরই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করার জন্য তুরস্কের ফার্স্ট লেডির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাম্প্রতিক পারস্পরিক সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের আমলে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রথমবারের মতো দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে আসা মুস্তফা ওসমান তুরান, দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে তার দেশের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা এবং ব্যবসায়ী ব্যক্তিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে একটি তুর্কি সংস্থা বাংলাদেশের এলপিজি খাতে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
বিনিয়োগ বাড়াতে গত ২১ জানুয়ারি তুরস্কের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের বিডা ও তুরস্কের বিইআইকের মধ্যে অনলাইনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুস্তফা কামাল আতাতুর্কের নামানুসারে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত।
তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আগ্রহের বিষয়টি জানার পর এ বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের নৌ জাহাজটি মেরামত করার জন্য তুর্কি সরকারকে ধন্যবাদ জানান, যেটি লেবাননের বৈরুত বিস্ফোরণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস এবং তার সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তুর্কি প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।