কক্সবাজারের সদরের বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারে সিসিটিভি ক্যমেরা স্থাপনের দাবিটি গনদাবিতে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসীসহ ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। বাজারের এলাকা নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতেই তাদের এই দাবি। এ বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও বাজারের উন্নয়নের কোন কাজ হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ এখানো সিসিটিভি স্থাপনের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় সর্ব মহলে হতাশা বিরাজ করছে। জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাজারটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। এ ঈদগাঁও বাজারে ব্যাংক, হাসপাতাল, বিভিন্ন মার্কেট, সপিংমলসহ প্রায় ১২ হাজারের ও অধিক ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অন্যদিকে আশেপাশে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান। ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন, আলমাছিয়া ফাজিল মাদ্রাস, দারুল পাতা একাডেমি, জাহানারা বালিকা বিদ্যালয়, অরবিট মডেল স্কুল। সংলগ্ন ঈদগাঁও বাসষ্টেশন, অদুরে ঈদগাঁও থানা। এসবকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন আবাসিক এলাকা। সব মিলে এটি একটি ব্যস্ততম উপ শহরে পরিনত হয়েছে।এ এলাকায় সিসিটিভি নির্মানে কেউ কথা রাখেনি এমন অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসী সহ ব্যবসায়ীদের। এই বাজারে দিন দুপুরে এনাম সওদাগরের দোকান ডাকাতি, স্বর্নের দোকান লুট, দিন দুপুরে মটর সাইকেল চুরি, এ সব ঘটনা ঘটে আসছে। যাবতীয় অপকর্ম ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি নির্মানে বাধা কোথায়? এমন প্রশ্ন ব্যবসায়ীসহ এলাকার সচেতন মহলের। তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এর মাধ্যমে অপরাধী সনাক্ত ও গ্রেফতারে আরো বেশি সফলতা আসবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। তাই অপরাধ দমন ও অপরাধী খোঁজা কিংবা আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা। এবিষয়ে বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সাধারন সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাজারের সকল অপকর্ম যাবতীয় অনৈতিক কাজ থেকে মুক্ত রাখতে নিরাপত্তা বিবেচনা করে এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমদকে জানানো হয়েছে তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থাপন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।