বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন

কুয়াকাটার তরমুজ চাষিদের চোখ দিগন্ত জোড়া স্বপ্নে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে। বাম্পার ফলনের জন্য তরমুজক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানীয় কৃষকরা। কেউ পানি সেচ দিচ্ছে কেউবা আবার নিড়ানি দিয়ে তরমুজ গাছের গোড়া ঠিক করে দিচ্ছে। কেউ কেউ আবার প্রতিরোধের জন্য ছত্রাকনাশক, ভিটামিন, সারসহ নানা ধরণের অনুখাদ্য ক্ষেতে প্রয়োগ করছেন।
গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে তরমুজ একটি জনপ্রিয় ফল। গরমে তরমুজ শুধুমাত্র মনে প্রশান্তিই এনে দেয় না বরং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়ামসহ নানা ভেষজগুন। তরমুজ চাষের প্রকৃত সময় হচ্ছে মাঘ-ফাল্গুন। এ বছর তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হবে এবং বেশি দামে বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল মন্নান বলেন, ‘কলাপাড়া উপজেলায় এবার তরমুজ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কৃষকরা সুগারবেবি, আসাহি ইয়ামাতো, আধারী, পূষা বেদানা ও হাইব্রিড জাতের মধ্যে সুগার এম্পায়ার, অমৃত, মিলন মধূ, সুগার বেলেসহ বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করছেন।’ লতাচাপলি ইউনিয়নের থঞ্জুপাড়ার কৃষক মো: মতিউর রহমান বলেন, ‘গত বছরে তরমুজ চাষে লাভবান হয়েছিলাম তাই এবারে আমি একটু বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করতেছি।’ নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের কৃষক মোমিন ফরাজি বলেন, ‘ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় এবারে তরমুজ চাষ করতেছি।’ তবে সরকারের কাছে তাদের দাবি এবারে কৃষকদের স্বার্থে পরিবহনের ভাড়া কমানোর জন্য এখন থেকেই উদ্যোগ নিবেন। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল মন্নান বলেন, তরমুজের বাম্পার ফলন নিশ্চিতকরণে কৃষি বিভাগ সব সময় মাঠ পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। পাশাপাশি কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com