জাতীয় সংসদ সদস্য পারিভিন হক সিকদারের বাবা সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিল্পপতি, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক শিকদারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকালে মরদেহ একটি হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কার্তিকপুর তার নিজ গ্রামে নিয়ে আসে। পরিবারের সদস্যরা কফিনের সাথে হেলিকপ্টারে আসেন। রোববার বাদ জোহর কার্তিকপুর জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে জানাযা দেয়া হয়। এরপূর্বে সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধার লাশ রাস্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়। এরপর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামূল হক শামীম, পারভিন হক শিকদার এমপি, পরিবারের সদস্যগন, মুক্তিযোদ্ধাগন রাজনৈতিক সংগঠন, ন্যাশনাল ব্যাংক ও উপকারভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান। জানাযায় অংশ নেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামূল হক শামীম, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি মরহুম জয়নুল হক সিকদারের কন্যা ন্যাশনাল ব্যাংকের কো-চেয়ারম্যান পারভিন হক সিকদার,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য আবদুল আউয়াল শামীম,জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান,পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান, শরীয়তপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, নড়িয়া পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র এড. আবুল কালাম আজাদ,মরহুমের পরিবারের সদস্যগন, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাস্টার হাসানুজ্জামান খোকন, ভেদরগঞ্জ পৌর মেয়র আঃ মান্নান হাওলাদার, সখিপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ন কবীর মোল্যা, সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, ডামুড্যা উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মাঝিসহ ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকসহ এলাকার হাজার মানুষ। জানাযা শেষে মরহুমের লাশ নিয়ে হেলিকপ্টারে করে পুনরায় ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পরে বাদ আসর সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে তার লাশ দাফন করা হয়।এরপূর্বে সোমবার বাদ জোহর তার প্রথম জানাযা সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।রোববার সকাল ১১টায় লাশ গ্রামের বাড়ি নেয়ার পর হাজার হাজার নারী পুরুষ এক নজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। জয়নুল হক সিকদার অত্র অঞ্চলে গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের প্রাণের মানুষ ছিলেন। বহু ছেলে মেয়েকে তিনি চাকুরী দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তার মৃত্যুর সংবাদে আজ পুরো শরীয়তপুর শোকে মূহ্যমান। গত ১০ ফেব্রুয়ারী দুবাই একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি ৫ ছেলে ৩ কণ্যা ও স্ত্রী, নাতনাতনি সহ বহু শুভাকা্খংী রেখে গেছেন।